কার হাতে থাকবে শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি ঠাকরে শিবিরে

শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি উদ্ধব ঠাকরে শিবিরে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয় শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন 'প্রকৃত শিবেসনা' হিসেবে কাউকে স্বীকৃতি না দেয়। বিষয়টির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রয়োজন রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে।

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে স্বস্তি ঠাকরে শিবিরের

প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ সোমবার শিবেসনা সংক্রান্ত মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা শিন্ডের কাছে জানতে চান, 'আপনি যদি নির্বাচিত হওয়ার পর রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেন, সেটা গণতন্ত্রের জন্য বিপদ নয়?' শিন্ডে শিবিরের আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, না। নির্বাচন কমিশন শিবসেনার শিন্ডে ও ঠাকরে শিবিরকে দলের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য তথ্য প্রমাণ পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই ঠাকরে শিবির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। যদিও শিন্ডে শিবিরের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, গণতান্ত্রিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা দলের অভ্যন্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না।' অন্যদিকে, ঠাকরে শিবির আদালতে জানায়, শিন্ডে শিবির অবৈধভাবে দলের অভ্যন্তরে সংখ্যা গরিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যা একটি দলের জন্য কখনই কাম্য নয়।

শিবসেনা নিয়ন্ত্রণের দাবি একনাথ শিন্ডের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের আবেদনের ভিত্তিতে ৮ আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনার শিবসেনার দুই শিবিরকে দলের অভ্যন্তরে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নথি পেশ করতে বলে। নির্বাচন কমিশনের কাছে একনাথ শিন্ডে আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই আসল শিবসেনা। নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে শিন্ডে বলেন, ১৫ জন বিধায়কের একটি দল, ৩৯ জন বিধায়কের একটি দলকে বিদ্রোহী বলতে পারে না। বরং এর উল্টোটা বলা যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত শিন্ড শিবিরের বিধানসভায় দুই তৃতীয়াংশ বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে। তবে শুধু বিধায়কদের সমর্থন নয়, দলটির নিয়ন্ত্রণের জন্য নীচুস্তরের ইউনিটগুলোর মধ্যেও সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রয়োজন রয়েছে।

একনাথ শিন্ডে শিবিরের উত্থান

একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাদি জোটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই শিবসেনার সঙ্গে বালা সাহেবের শিবসেনার কোনও মিল নেই। কয়েকজন ব্রিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নিয়ে তিনি প্রথমে সুরাটে ও পরে অসমে আশ্রয় নেন। শিবসেনার বেশিরভাগ বিধায়ক ধীরে ধীরে একনাথ শিন্ডেকে সমর্থন করে। শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক শিন্ডে শিবিরকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, মাত্র ১৫ জন বিধায়ক ঠাকরে শিবিরকে সমর্থন করে। সংখ্যা গরিষ্ঠ বিধায়কদের সমর্থনে বিজেপির সঙ্গে একনাথ শিন্ডে শিবির সরকার গঠন করে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে।

অবসরের সময় আসন্ন, কে হচ্ছেন দেশের প্রধান বিচারপতি? মাত্র ৭৪ দিন CJI পদে থাকবেন তিনিঅবসরের সময় আসন্ন, কে হচ্ছেন দেশের প্রধান বিচারপতি? মাত্র ৭৪ দিন CJI পদে থাকবেন তিনি

More UDDHAV THACKERAY News  

Read more about:
English summary
SC breather for Thackeray group on real Shiv Sena
Story first published: Thursday, August 4, 2022, 17:16 [IST]