৫২ বছর তিরঙ্গা উত্তোলন করেনি
বুধবার কর্ণাটকের হুবলি জেলায় যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কর্ণাটকের খাদি গ্রামীন শিল্প পর্যবেক্ষণের বেশ কয়েকটি ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেন। সেখানে একটি ছবিতে তাঁকে জাতীয় পতাকা ইস্ত্রি করতে দেখা যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, 'আজ কর্ণাটকের হুবলি জেলায় খাদি গ্রামীণ শিল্পে আমাদের জন্য তিরঙ্গা বুনছেন এমন কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই তিরাঙ্গাকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় রাখতে লক্ষ লক্ষ দেশবাসী প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু একটি সংগঠন তিরাঙ্গাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল। তারা ৫২ বছর নাগপুরে নিজেদের সদর দফতরে তিরঙ্গা উত্তোলন করেনি।'
হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ
তিনি বলেন, যে সংগঠন ৫২ বছর নিজেদের দফতরে তিরঙ্গা উত্তোলন করেননি, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কয়েকজন 'হর ঘর তিরাঙ্গা' কর্মসূচির প্রচার করছেন। বিজেপি ও আরএসএসকে তীব্র কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী বলেন, '৫২ বছর ধরে আরএসএস কেন তাদের সদর দফতরে তিরাঙ্গা উত্তোলন করেনি। যাঁরা খাদির জাতীয় পতাকা তৈরি করছেন, তাঁদের জীবিকা কেন নষ্ট করা হচ্ছে। কেন চিন থেকে পলিএস্টার আমদানি করে জাতীয় পতাকা তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।' সম্প্রতি রাহুল গান্ধী টুইটারে প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন করেন। সেখানে তিনি জহরলাল নেহরুর একটি ছবি দেন। ছবিটিতে নেহরুর হাতে জাতীয় পতাকা রয়েছে। ছবিটির সঙ্গে ক্যাপশানে তিনি লেখেন, 'আমাদের দেশের গর্ব তিরাঙ্গা। প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ে রয়েছে তিরাঙ্গা।'
‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ কর্মসূচির ডাক মোদীর
রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি ভারতীয়কে 'হর ঘর তিরাঙ্গা' কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি ২ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সবাইকে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতে জাতীয় পতাকার ছবি রাখার আবেদন করেন। পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান করেন। তিনি বলেন, ২ আগস্ট পিঙ্গালি ভেঙ্কায়ার জন্মদিন। তিনি আমাদের জাতীয় পতাকার নক্সা করেছিলেন।