রোমহর্ষক অভিযানে নিকেশ আল-কায়দা প্রধান
হঠাৎ ঘুম ভেঙে বিশ্ববাসী জানতে পারল মার্কিন ড্রোন হানায় নিকেশ হয়েছেন আল-কায়দা জঙ্গি নেতা আয়মান-আল-জাওহারি। সকালের নমাজ পড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় ড্রোনে বসানো মিসাইল দেহ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় তাঁর। নিজের বাড়ির বারান্দাতেই বেঘোরে মারা গিয়েছেন আল-কায়দা প্রধান। হামলার আগে পর্যন্ত কেউ আঁচ করতে পারেননি। অথচ পরিবারের কারোন নাকি কিছু হয়নি। ড্রোন হামলার পরেও অক্ষর রয়েছেন জওহরির মেয়ে-বউ।
হাক্কািন পরিবারের সদস্যরা নিকেশ
তাজাখস্তােন নিযুক্ত আফগািনস্থােনর দূত দাবি করেছেন, হাক্কািন পরিবারের কয়েকজন সদস্য সেদিন ড্রোন হামলায় মারা গিয়েছে। হাক্কািন নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজ হাক্কািনর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন আল-কায়দা জঙ্গিনেতা। সভিয়েত বিরোধী আন্দোলনের সময় তৈরি হয়েছিল হাক্কািন নেটওয়ার্ক। জালাল উদ্দিন হাক্কািন তৈরি করেছিলেন এটি। যে বাড়িটিতে কাবুলে আল-কায়দা নেতা আত্মগোপন করে ছিেলন সেই বাড়িটি হাক্কানিদের ছিল। সিরাজ উদ্দিন হাক্কািন এবং অন্যান্য হাক্কানি শীর্ষ নেতারা নিরাপদে সেদিন বেরিয়ে আসতে পারলেও সেখানে তাঁদের বেশ কিছু জঙ্গি নেতা ছিল। তারাই মারা গিয়েছে ড্রোন হামলা।
বিশেষ ড্রোনের ব্যবহার
বিশেষ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে নিকেশ করা হয়েছিল আল-কায়দা জঙ্গি নেতাকে। মধ্যরাত থেকেই টার্গেট তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তােনর আকাশ পথ ব্যবহার করা হয়েছিল। আগে থেকেই মার্কিন গোয়েন্দারা খোঁজ নিয়েছিলেন কখন বাড়ির বারান্দায় বেরোন আল-কায়দা নেতা। সেই মত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভোরের নমাজ পড়ার পরেই সকাল ৬টা নাগাদ তিিন বাড়ির বারান্দায় বেরিয়ে আসতেন। ঠিক সেই সময় তাঁকে টার্গেট করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূর থেকে মার্কিন সেনা টার্গেট তৈরি করেছিলেন। তারপরেই লক্ষ্যভেদ।
অক্ষত রয়েছে বাড়িটি
ড্রোন হামলার পড়ে কিন্তু খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বাড়িটির। কীভাবে সম্ভব হল? জানা গিয়েছে বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোনের ব্যবহার করা হয়েছিল। যেটি কেবল লক্ষ্য ভেদ করবে। আশপাশের এলাকার তেমন ক্ষতি করবে না। সেকারণেই জঙ্গি নেতার মেয়ে বউ পাশের ঘরে থেকেও অক্ষত ছিলেন। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র অনেক আগেই তৈরি করে ফেলেছিল আমেরিকা। একাধিকবার তার ব্যবহার করেছে তারা।