মাঝ রাতে পাকিস্তানের কারখানায় ডাকাত দলের হানা, হাজার কোটি পাকিস্তানি মুদ্রার সম্পত্তি চুরি

পাকিস্তানের অন্যতম বড় ইস্পাত কারখানা পাকিস্তান স্টিল মিল বা পিএসএম থেকে ১০ বিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রার সম্পদ চুরি হয়ে গিয়েছে। ৫০ জনের একটি ডাকাতের দল করাচিতে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন এই কারখানায় হামলা করে। অভিযোগ এই ডাকাতির সঙ্গে কারখানার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ও কিছু কর্মীদের যোগ রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রকে একটি আবেদন করা হয়েছে।

শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ

পাকিস্তান স্টিল মিলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ২৭ জুলাই রাতে কারখানায় ৫০ জনের একটি ডাকাতের দল হামলা করে। কারখানা থেকে ১০ বিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রার তামার তার চুরি হয়েছে। ঘটনার সময় কারখানার স্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁরা এই ডাকাতি আটকানোর কোনও ব্যবস্থা করেননি। শ্রমিক সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কারখানার ম্যানেজমেন্ট এই ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণেই তাঁরা ডাকাতি আটকানোর কোনও চেষ্টা করেনি। এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আবেদন জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে কারখানার শ্রমিক সংগঠন।

শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রকের তদন্তের নির্দেশ

শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রক ইতিমধ্যে পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ-এর প্রধানের কাছে এই চুরির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাকিস্তানের শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রক শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ মেনে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এফআইএ-কে পাঠানো চিঠিতে পাক প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, এই চুরির সঙ্গে কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা যুক্ত থাকতে পারে। পিএসএম একটি অন্তর্বতী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই চুরির তদন্ত করছে। তবে এই ব্যাপক পরিমাণে কারখানার সম্পত্তির চুরির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পাকিস্তান সরকার এফআইএ-কে ভরসা করছে। পাকিস্তানে স্টিল মিলে এই চুরির ঘটনাকে দেশের সব থেকে বড় চুরির ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে পাকিস্তানের সরকার বা তদন্তাকারী সংস্থা কোনও মন্তব্য করেনি।

ব্যাপক ক্ষতির মুখে পিএসএম

২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তান স্টিল মিল বা পিএসএম লোকশানে চলছিল। ২০১৫ সালে এই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ফের কারখানাটি খোলা হয়। কারখানার শ্রমিকদের জাতীয় কোষাগার থেকে কয়েক বিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রায় বেতন দেওয়া হয়। ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত ক্ষতি, ঋণ মিলিয়ে মোট মূল্য ৬৫০ বিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রায় পৌঁছে যায়। এই চুরির ঘটনার পর ক্ষতির পরিমাণ এক ধাক্কায় কয়েকগুন বেড়ে যাবে।

'অসহ্য এই গরমে মনে হচ্ছে নরকে বাস করছি,’ তাপপ্রবাহের জেরে ১০০০ ব্রিটিশের মৃত্যুর আশঙ্কা 'অসহ্য এই গরমে মনে হচ্ছে নরকে বাস করছি,’ তাপপ্রবাহের জেরে ১০০০ ব্রিটিশের মৃত্যুর আশঙ্কা

More PAKISTAN News  

Read more about:
English summary
50 robbers steal assets worth over PKR 10 billion from Pakistan Steel Mills
Story first published: Monday, August 1, 2022, 17:32 [IST]