কমনওয়েলথ গেমসে ভারতকে ভারোত্তোলনে সোনা এনে দিলেন অচিন্ত্য শেউলি। স্ন্যাচে গেমস রেকর্ড গড়ার পর সম্মিলিত স্কোরে রেকর্ড গড়ে তিনি সোনা জিতলেন ৭৩ কেজি বিভাগে। স্ন্যাচে প্রথম প্রয়াসে তোলেন ১৩৭ কেজি, দ্বিতীয় প্রয়াসে ১৪০ কেজি ও তৃতীয় প্রয়াসে ১৪৩ কেজি। এর ফলে মালয়েশিয়ার মহম্মদ এরি হিদায়তের চেয়ে এগিয়ে থাকেন অচিন্ত্য। হিদায়ত ১৩৮ কেজি সর্বাধিক তোলেন স্ন্যাচে। কানাডার শাড ডারসিগনি তোলেন সর্বাধিক ১৩৫ কেজি। এরপর ক্লিন অ্যান্ড জার্কেও দারুণ শুরু করেন শেউলি।
(ছবি- আইওএ টুইটার)
তিনি ক্লিন অ্যান্ড জার্কে প্রথম প্রয়াসে অচিন্ত্য ১৬৬ কেজি তোলেন। ফলে সম্মিলিত স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৩০৯, যা নয়া গেমস রেকর্ড। তার আগে মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ প্রথম প্রয়াসে ১৬৫ কেজি তুলে সম্মিলিত স্কোর ৩০৩-এ পৌঁছে গিয়েছিলেন। সোনা জয়ের লড়াই তাই হাড্ডাহাড্ডি অবস্থায় পৌঁছে যায়। দ্বিতীয় প্রয়াসে শেউলি ১৭০ কেজি তুলতে গিয়ে পারেননি। কিন্তু তখনও তিনি লিড ধরে রাখেন। এরপর তৃতীয় প্রয়াসে তিনি ১৭০ কেজি তুলে গেমস রেকর্ডকে আরও উন্নত করেন। তাঁর সম্মিলিত স্কোর দাঁড়ায় রেকর্ড ৩১৩ কেজি!
Achinta Sheuli - another golden boy for India in Commonwealth Games. pic.twitter.com/wewiVrRuQq
— Johns. (@CricCrazyJohns) July 31, 2022
কানাডার শাড ডারসিগনি ক্লিন অ্যান্ড জার্কে প্রথম প্রয়াসে ১৫৮ কেজি তোলার পর দ্বিতীয় প্রয়াসে ১৬৩ কেজি তুলতে পারেননি, সফল হন তৃতীয় প্রয়াসে। সম্মিলিত স্কোর ২৯৮ কেজি তুলে তিনি জেতেন ব্রোঞ্জ। মহম্মদ এরি হিদায়ত দ্বিতীয় প্রয়াসে ১৭৬ কেজি তুলতে পারেননি। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় অচিন্ত্যর সোনা। তৃতীয় প্রয়াসেও তিনি ব্যর্থ হন। স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে তিনি তোলেন ৩০৩ কেজি। ফলে বছর ২০-ক শেউলি ১০ কেজির ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন।
G🔥LD FOR ACHINTA 🥇
— SAI Media (@Media_SAI) July 31, 2022
Beaming with confidence, the 20-yr old debutant #AchintaSheuli puts up a dominating performance to bag 3️⃣rd GOLD for 🇮🇳 at @birminghamcg22
Creating Games Record & winning 🥇with a total lift of 313Kg in Men's 73kg 🏋♂️Final at #B2022 #Cheer4India
1/1 pic.twitter.com/EWpW4uVK7t
অচিন্ত্য শেউলির বাড়ি হাওড়ার ধূলাগড় বাজারের কাছে দেউলপুর গ্রামে। বাবা ভ্যান চালাতেন। তাঁর মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে জরির কাজ করতেন অচিন্ত্য। পরে পুনের আর্মি বেস ক্যাম্প ও সেখান থেকে পাতিয়ালার জাতীয় শিবিরে যান অচিন্ত্য। ভারোত্তোলনে হাতেখড়ি দেউলপুরের কোচ অষ্টম দাসের কাছে। ২০১৮ সালে জাতীয় মিটে রুপো জেতার পরের বছর জেতেন সোনা। কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি অচিন্ত্য নিয়েছেন পাতিয়ালাতেই। তাসখন্দে গত বছর জুনিয়র বিশ্ব মিটে ৭৩ কেজি বিভাগেই রুপো জিতেছিলেন এই বাঙালি ভারোত্তোলক। কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা পান। বাংলা থেকে এর আগে কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তোলনে সোনা জিতেছিলেন সুখেন দে। অচিন্ত্যর ইচ্ছাশক্তি ও টেকনিকের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সুখেনের গলাতেও।