দিদি আর অনুপ্রেরণা এটা বললেই বাংলার মানুষের সামনে একটা মুখই ভেসে ওঠে। একদম ঠিক, আপনি নিশ্চয় ভাবছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। তবে কী তাঁর অনুপ্রেরণায়! হতেও পারে। তাঁকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁকে গান শোনাতে বলতেন। দেখা হলেই বাপ্পিদা গান লিখে দিতে বলতেন তাঁকে। একটা গান লিখে দিয়েওছিলেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই শিল্পী সত্ত্বা ছাড়াও তিনি তো জেরেমি লালরিনুঙ্গার রাজ্যের না হোক দেশের অন্যতম বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রাজনৈতিক লড়াই তাঁকে রিংয়ের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা দিতে পারে। যদি আপনি এসব আগডুম বাগডুম ভাবেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। জেরেমি'র এই দিদি হলেন দেশের সোনার মেয়ে মীরাবাঈ চানু।
জেরেমি বলেছেন , "দিদি (মীরাবাই চানু) আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। প্রতিযোগিতায় নামার আগে, তিনি আমার সাথে দেখা করেছিলেন এবং আমাকে ভাল পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। প্রথম সারি থেকেই তিনি আমার জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন। আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং অলিম্পিকে তার যাত্রা এবং সবকিছু সম্পর্কে আমি ওঁর থেকে জেনেছি এবং শিখেছি। তিনি আমাদের প্রতিবার গাইড করেন।"
জেরেমি লালরিনুঙ্গা, রবিবার ১৯ বছর বয়সে তার প্রথম কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের এবং ভারোত্তোলন স্কোয়াডের দ্বিতীয় সোনা জেতেন। তিনি ৬৭ কেজি পুরুষদের ভারোত্তোলন বিভাগে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে এবং দেশকে পদক এনে দেন। জেরেমি যখন প্রথম ধাপ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ডিসিপ্লিনে ৩০০ কেজি ওজন তোলেন। যার ফল এই সোনা জয়।
তিনি বলেন "আমি ক্লিন অ্যান্ড জার্কে নিজেকে যতটা আশা করেছিলাম ততটা করতে পারিনি তবে আমি বাড়ি থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি খুব খুশি। এখানে স্টেডিয়ামেও আমাকে দেখতে অনেক লোক এসেছিল এবং আমি শুধু সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
চোট নিয়ে এই জয় নিয়ে তিনি বলেন, "যুব অলিম্পিকের পর আমি এত বড় কিছু অর্জন করিনি। সিনিয়র পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এটি আমার প্রথম পদক এবং আমার বেশ কয়েকটা চোট ছিল। তারপরেও পদক জেতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। আমি আশানুরূপ পারফরম্যান্স দিতে পারিনি তবে আমি যা চেয়েছিলাম তা অর্জন করেছি।" তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর ইভেন্টের সময়ে উপস্থিত থাকা দর্শককেও। তাদের সমর্থন আরও সাহায্য করেছিল তাঁকে।