শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা নিশানা
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকা নিয়ে করা মন্তব্যের পর পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাল্টা দাবি টাকা তার নয় বলে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারেন না। শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা দাবি করেছেন, 'সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালনার নির্দেশ দিতেন তাঁর ভাইপো।' অর্থাৎ টাকার আসল উৎস যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই দাবি আগেও একাধিক বিজেপি েনতা করেছেন।
টাকা আমার নয়
রবিবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলে টাকা আপনার? তার উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন টাকা কার নয়। আসল সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে। তার পরেই ইডির আধিকারীক এবং িনরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে নিয়ে চলে যান ভেতরে। তার আগের দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে জানিয়েছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তা নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি।
টাকা কার
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি উদ্ধার হওয়া ৫৮ কোটি টাকা তাঁর নয়। তার আগে আবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন সেই টাকা তাঁর নয়। টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তারপরে আবার তদন্তকারীদের তিিন জািনয়েছিলেন, টাকার উৎস তিিন জােনন না। এই টাকা তাঁর হলে তিনি ছবি প্রযোজনা করতেন। তাঁর অনেক দিনের স্বপ্ন ছবি প্রযোজনা করা। অর্পিতার দাবি এই টাকা তাঁর নয় অথচ তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমান টাকা। কাজেই টাকার উৎস্য িনয়ে নতুন নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা স্বাভাবিকভাবেই আঙুল তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে।
৫৮ কোটি টাকা উদ্ধার
এসএসসি কাণ্ডের তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছি। তারপরে আবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও ২০ কোটি টাকা। মোট ৫১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে দুটি ফ্ল্যাট থেকে। তারপরেই আবার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও পার্থ-অর্পিতার যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও ৮ কোটি টাকা। কিন্তু কোথা থেকে এই টাকা এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।