কাজ হয়েছে সামান্য
সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে লোকসভায় এখনও পর্যন্ত কাজ হয়েছে ১৬ ঘন্টার মতো। অন্যদিকে রাজ্যসভায় কাজ হয়েছে ১১ ঘন্টার মতো। কিন্তু প্রতিদিন দুই কক্ষেই ছয় ঘন্টা করে মোট ৬০ ঘন্টা কাজ হওয়ার কথা। যা আগে থেকেই নির্ধারিত।
অন্যদিকে গত দু-সপ্তাহের জিএসটি-সহ মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় হইহট্টগোলের কারণে লোকসভার ৪ জন এবং রাজ্যসভার ২৩ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
লোকসভায় পাশ দুই বিল
তবে এই হই-হট্টগোলের মধ্যেও সরকার লোকসভায় অ্যান্টি ডোপিং বিল এবং পারিবারিক আদালত বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। বিল দুটি রাজ্যসভায় পাথ হওয়ার অপেক্ষায়।
সরকার ও বিরোধীদের অবস্থান
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সরকার সংসদে আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু এব্যাপারে বিরোধীদের আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। না হলে দুই কক্ষে কাজ চালানো সম্ভব নয়, এমনটাই অবস্থান সরকারের। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৫ অগাস্ট দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
রাজ্যসভায় সরকারপক্ষের নেতা পীযুষ গোয়েল বলেছিলেন, সরকার আলোচনায় তৈরি। কিন্তু তার পরেও বিরোধী সদস্যরা সংসদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও আলোচনায় অংশ নেবেন।
পাল্টা আবশ্য বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার আলোচনায় ইচ্ছুক নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার পক্ষ বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে।
বিরোধীদের নিশানায় সরকার
বিরোধীদের অভিযোগ সরকার যে সংসদে আলোচনায় আসতে চাইছে না তা লোকসভা ও রাজ্যসভায় ২৭ সাংসদকে সাসপেন্ড করা থেকেই পরিষ্কার। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন, সাংসদদের সাসপেন্ডকরা থেকেই পরিষ্কার মোদী সরকার জনগণের মুখোমুখি হয়ে বাস্তব ও জরুরি সমস্যাগুলি সমাধানের মতো অবস্থায় নেই।
সংসদে যেখানে দেশের মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা জরুরি, সেই সময় বিজেপি সাংসদরা, লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীন চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে শোরগোল করছেন। অধীর চৌধুরী ভুল স্বীকারের পরেও চলছে শোলগোল। অন্যদিকেকংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রীরা সানিয়া গান্ধীকে কটূ কথা বলেছেন। যা নিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকটা উত্তর থেকেছে সংসদ।