করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাঙ্কি পক্সের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। সাঁড়াশি আক্রমণে ভারতীয়দের আতঙ্কের পারদ বাড়ছে। তারমধ্যেই দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ভালো খবর দিল কেরলের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, দেশের প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট চারজন মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে তিন জনই কেরলের বাসিন্দা। তাঁরা বিদেশ থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, কেরলের আরও যে দুজন মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বর্তমানে তাঁরা কেরলের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে, দিল্লিতে একজন মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। সিমলাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরারর পরেই তাঁর শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। রিপোর্ট পজেটিভ আসে। মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দিল্লির আরও এক ব্যক্তি সিলমাতে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর শরীরেও মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিল্লি ছাড়াও তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে একাধিক ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মাঙ্কি পক্স পশ্চিমের দেশগুলোতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মাঙ্কি পক্সে ইউরোপের দেশগুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কেরলে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঙ্কি পক্সের রূপ ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের রূপ আলাদা। বিজ্ঞনীরা জানিয়েছেন, আমেরিকা ও থাইল্যান্ডে মূলত মাঙ্কি পক্সের এ-২ রূপটি দেখা গিয়েছে। ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পক্সের বি-১ রূপটি। অন্যদিকে ভারতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কি পক্সের এ-২ রূপটি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। রূপ আলাদা হলেও মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ এক। গায়ে গুটি ওঠা বা ব়্যাশ ওঠা এই রোগের প্রামি উপসর্গ। এর সঙ্গে জ্বর, গাঁটে ব্যাথা, গা বমি, মাথার যন্ত্রণা দেখা দেয়। দুই থেকে তিন সপ্তাহ এই উপসর্গ থাকে।