বহু রাঘববোয়াল জড়িত
নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্রা। এই ঘটনায় শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নন, বহু রাঘববোয়াল জড়িত। প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে। আর কিছু করার নেই। তৃণমূল এই দুর্নীতিতেই শেষ হয়ে যাবে। সব সামনে আসতে বাধ্য।
পার্থর টাকায় ‘ব্যাঙ্ক অফ মমতা'
অধীর চৌধুরী বলেন, সব তৃণমূল নেতাই এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। টেট বিক্ষোভে অধীরের নিশানায় উঠে এলেন তৃণমূল নেতারা। মা-মাটি-মানুষের সরকারকে একহাত নিতেও তিনি ছাড়লেন না। ছাড়লেন না মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাঁচাতে চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি পারলেন না। এবার তৃণমূলের সব অপরাধ একে একে সামনে আসবে। সবাই জড়িত তৃণমূলের। পার্থর টাকায় 'ব্যাঙ্ক অফ মমতা' তৈরি করা হয়েছে।
দিদির জ্ঞাতসারেই সব কিছু
অধীর চৌধুরী বলেন, দিদির জ্ঞাতসারেই সব কিছু হয়েছে। বাংলার বেকারদের বঞ্চিত করা হয়েছে চাকরি থেকে। তাঁদের যোগ্যতাকে পদদলিত করে শুধু টাকা লুঠ করা হয়েছে। চাকরির টোপ দিয়ে বেকারদের টাকা শোষণ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখোশ খুলে গিয়েছে। এই তৃণমূলকে বাংলার মানুষ ভোট দেয়নি। এঁদের আমলেই দুর্নীতির কারণে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের অধিকার খুইয়েছে। তার জবাব তো দিতেই হবে। বাংলার মানুষ এবার জবাব চাইবে।
ষড়যন্ত্রী কে, সামনে আনুন
অধীর চৌধুরী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাই কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন অর্থাৎ ষড়যন্ত্রী কে, সেই সত্য তো তাঁকেই সামনে আনতে হবে। তা ভিন্ন আর কোনও উপায় নেই। এতদিন তৃণমূল যে দুর্নীতির বাসা বেঁধে বেকার যুবকদের দুরমুশ করে রাজ্য চালিয়েছে, তাদের জবাব দিতে হবে। আর এই টাকার পাহাড়েই সলিল সমাধি হবে তৃণমূল সরকারের।
আসলে তিনি চোরেদের রানি
আগের দিনও কড়া প্রতিক্রিয়ায় অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, তৃণমূলের ভোটার তাঁরা সৎ, তৃণমূলের সমর্থক তাঁরা সৎ। তাঁদের সততাকে, তাঁদের আন্তরিকতাকে তৃণমূলের রথী-মহারথীরা অপব্যবহার করে ধন-কুবেরে রূপান্তরিত হয়েছেন। আভি তো স্রেফ ঝাঁকি হ্যায়, বহুত কুছ বাকি হ্যায়। তিনি বলেন, দিদি নিজেকে সারদামণি-রাসমণি মনে করেন, আসলে তিনি চোরেদের রানি।