ফের ব্রিটেন একটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে। ২০১৯ সালে থেরেসা মের পদত্যাগের সময় ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি। পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা হলেও বর্তমানে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন করে দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন পদত্যাগ করেছেন। কে হবেন ব্রিটেনর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, ঋষি সুনাক ও লিজা ট্রাসের মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে। কিন্তু ব্রিটেনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই কনজারভেটিভ দলের এই দুই নেতা। এমনকী ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জনপ্রিয়তাও প্রায় তলানিতে। তবে লিজা ট্রাসের থেকে ঋষি সুনাক বেশি জনপ্রিয় বলেই সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, তা সময় বলবে। ব্রিটেন ভিত্তি সংস্থা ইউগভ একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় ব্রিটেনের প্রায় পাঁচ হাজার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। সমীক্ষায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে ঋষি সুনাক বা লিজা ট্রাসের মধ্যে কেউ সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। সমীক্ষায় লিজা ট্রাস যেখানে ৩২ তম স্থানে অবস্থান করছেন। জনপ্রিয়তার দিক থেকে ঋষি সুনাক ৩০ তম স্থানে রয়েছেন। ২০১৯ সালের কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় বরিস জনসন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। কিন্তু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জনপ্রিয়তাতে বর্তমানে ভাটা পড়েছে। তিনি ৪৫ তম স্থানে অবস্থান করছেন। ২০১৯ সালে অনেকেই কনজারভেটিভ দলকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সুনাকের বিপরীতে কথা বলছেন। অন্যদিকে, ট্রাসের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন প্রায় ৪৫ শতাংশ জনগণ।
ব্রিটেনের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ছে লেবার পার্টির। ব্রিটেনে পর পর দুটি সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির জয় হয়। ইউগভ সংস্থার সমীক্ষায় লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা দেখা গিয়েছে। লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করেছে। সমীক্ষায় ইউগভ সমীক্ষায় লেবার পার্টির নেতা কিয়ারা স্টারমার্ক জনপ্রিয়তার দিক থেকে ১৮ তম স্থানে রয়েছে। এছাড়াও ব্রিটেনের অনেক নাগরিক যাঁরা ২০১৯ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা বর্তমানে লেবারপার্টিকে সমর্থন করার পরিকল্পনা করছেন। ২০১৯ সালে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিনকে হারিয়ে বরিস জনসন দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। কনজারভেটিভ পার্টি ব্রিটিশ সংসদের ৮০টি আসনের মধ্যে ৪৮ আসনে জয়লাভ করে। থেরেমা মে দল ছাড়ার পর কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হন। ব্রেক্সিট ডিল চূড়ান্ত করার আগে তিনি দেশে আগাম সাধারণ নির্বাচনের ডাক দেন।
আর্থিক মন্দার দিকে এগোচ্ছ আমেরিকা! মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের বাড়ল ফেডারেল রিজার্ভ রেট