খাবারের তালিকায় কী ছিল ?
খাবারের বহর শুনলে মনে প্রশ্ন উঠবে এ কেমন প্রতিবাদ! এত খেয়ে দেয়ে আনন্দ করে প্রতিবাদ কী হয় ? রাজনীতিতে সবই হয়। তাঁরা তো বলেননি অনশনে বসেছেন। তাহলে ? খাওয়া যেতেই পারে। নেতারা কেউ খেলেন দই ভাত , কেউ ইডলি-সম্বর। কারও পাতে আবার তন্দুরি চিকেন থেকে শুরু করে গাজরের হালুয়া ফল সবই পড়ল পাতে ও চট করে চলে গেল পেটে।
পালা করে খাবারের ব্যবস্থা
বিরোধী দলগুলি পালা করে প্রতিবাদী সাংসদের জন্য আঞ্চলিক খাবারের ব্যবস্থা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করেছেন, "বিরোধী সাংসদরা টানা ৫০ ঘণ্টার ধরে নাগাড়ে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২১ ঘণ্টা শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি এখনও ২৯ ঘণ্টা। ২৪ সাংসদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করুন। আলোচনা করুন।"
এক একটি দল এক এক সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছে
পিটিআই রিপোর্ট অনুসারে, সংহতি এবং রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে, বিরোধী দলগুলি বিক্ষোভের জন্য একটি দায়িত্ব রোস্টার তৈরি করতে একত্রিত হয়েছে এবং প্রত্যেক দল ধর্নায় বসে থাকাদের জন্য খাবার সহ অন্যান্য ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়েছে। রোস্টারটি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রচার করা হচ্ছে"।
কী ঘটনা ঘটেছিল ?
প্রসঙ্গত, ২০ জন সাসপেন্ড রাজ্যসভার সদস্য বুধবার সংসদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ শুরু করেন। সোমবার এবং মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয়, টিএমসি থেকে সাতজন, দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগম (ডিএমকে) থেকে ছয়জন, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) থেকে তিনজন, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) থেকে দুজন এবং কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের (সিপিআই) এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) থেকে একজন করে রয়েছেন। যে দলগুলি বিক্ষোভের অংশ নিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে টিএমসি, ডিএমকে, এএপি, টিআরএস, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, সিপিআইএম, সিপিআই, জেএমএম এবং কেরালা কংগ্রেস।
সমগ্র বিরোধীদের এক দাবি, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জিএসটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। মুড়ি, দই, দুধ থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে। হই-হট্টগোল লেগেই রয়েছে। তার জেরে এবার সাসপেনশনের সংখ্যাও সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে। রেকর্ড সাসপেনশনে এবারের সংসদ অধিবেশন উত্তাল। গতবছর কৃষি বিল নিয়ে বর্ষাকালীন অধিবেশনে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছেছে ২০-তে।