একের পর এক সম্পত্তির হদিশ! বুধবারই বেলঘরিয়ার বিলাসবহুল আবাসন থেকে ২৮ কোটি টাকা সহ একাধিক জিনিস পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সম্পত্তির হদিশ। যা দেখে একেবারে তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
একটি চিনার পার্কে ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা অন্যদিকে নয়াবাদেও একটা ফ্ল্যাট ইডির আধিকারিকরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
নয়াবাদের ফ্ল্যাটে প্রায় চার ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে ইডির আধিকারিকরা তদন্ত করছেন বলে জানা গিয়েছে। পুরো ফ্ল্যাট এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রেখেছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এই ফ্ল্যাট ঘিরে সারি আরি কৌতুহলি মুখ। এখানেও কি যখের ধন পাওয়া যাবে? সেদিকেই নজর সবার।
তবে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে নয়াবাদের ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্ভবত পেয়েছেন তদন্তারী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে সেখানে একটি প্রিন্টার নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরেই জোরাল হয়েছে বেশ কিছু নথি এবং তথ্য পাওয়ার তথ্য। শুধু তাই নয়, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মাঝে কধ্যেই এই ফ্ল্যাটে আসতেন। গভীর রাতে আসতেন।
এমনকি তাঁর সঙ্গে বন্ধু-বান্ধ্রাও থাকতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কারা তাঁরা? সেটাই এখন ইডি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যদিও এই চনার পার্কের ফ্ল্যাটে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি। সেটি ফ্ল্যাটতি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার ফের একবার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এক যোগে অন্তত আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে চার জায়গাতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। অন্যদিকে দফায় দফায় প্রথ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতাকেও জেরা করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই জেরায় নাকি বিস্ফোরক দাবি করেছেন পার্থ ঘনিষ্ট বান্ধবী। তাঁর দাবি, টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৫০ কোটি টাকা নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই।
এই বিষয়ে তিনি নাকি কিছুই জানতেন না। এমনকি তাঁকে ঘরে যেতে দেওয়া হত না বলেও জেরা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন অর্পিতা। শুধু তাই নয়, ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফ্ল্যাটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা টাকা রেখে যেতেন বলেও জেরায় দাবি করেছেন অর্পিতা। এই বিষয়টিই এখন খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, দীর্ঘ জেরায় একেবারে ভেঙে পড়েছেন অর্পিতা। তবে শান্ত থাকার চেষ্টা করছেন পার্থ।