দয়া করে সোনিয়া গান্ধীকে টেনে আনবেন না
সংসদে বিক্ষোভের সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে উল্লেখ করেন। যার জেরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা ও রাজ্যসভা। পরিস্থিতিতে ক্ষমা চান অধীর চৌধুরী। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের সাংসদরা দাবি করেন, সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, এই ঘটনায় সোনিয়া গান্ধীকে কেন টেনে আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমি রাষ্টপতিকে অপমানের কথা ভাবতেও পারি না। এটা আমার ভুল ছিল। রাষ্ট্রপতির খারাপ লাগলে ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করব ও ক্ষমা চাইব। আমি শাস্তি পেতে প্রস্তুত। কিন্তু কেন সোনিয়া গান্ধী এই ঘটনায় টেনে আনা হচ্ছে?'
অধীর চৌধুরীর ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য
অধীর রঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেস সাংসদদের একটি বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপত্নী বলে উল্লেখ করেন। পরে যদিও তুমি তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, মুখ ফসকে শব্দ বেরিয়ে গিয়েছে। পাল্টা তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল এই ঘটনাকে বড় করে দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে, অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও নির্মলা সীতারমণ দাবি করেন, সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সোনিয়া গান্ধী বলেন, মন্তব্যের জন্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। বিজেপির বিক্ষোভের জেরে বাদল অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। সূত্রের খবর, এরপরেই কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অভিযোগ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'এই মন্তব্যের জন্য সোনিয়া গান্ধীকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।' পাশাপাশি তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকে কংগ্রেস নানা ভাবে দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমান করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের নেতারা জানতেন, রাষ্ট্রপতিকে এভাবে সম্বোধন করে শুধু একটি সংবিধানিক পদকেই অপমান করা হয়নি, আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা মহিলাকেও অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে এভাবে অপমানের অর্থ হল দেশের মহিলাদের অপমান করা। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্য নারীবিরোধী ও দলিত বিরোধী।'