প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবে না! এমনকি প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতিও নন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর সেই প্রসঙ্গে আজ বুধবার মিঠুন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞেস করা হয়। আর সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন তিনি। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের প্রতিহিংসারও জবাব কড়া ভাষায় দিয়েছেন মিঠুন। স্পষ্ট বার্তা, কিছু না করলে ভয় কীসের।
বঙ্গ বিজেপিতে নতুন করে সক্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরপরেই লোকসভা। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে ফের একবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সুকান্ত-শুভেন্দুরা। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ জরুরি একটি বৈঠক হয় হেস্টিংসে। যেখানে বঙ্গ বিজেপির একাধিক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। আর সেই বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন মিঠুন চক্রবর্তী। আর সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
আর সেই জবাবে মিঠুন বলেন, ব্যক্তিগত পলিটিক্স করি না। সুর নুরম করেও তাঁর বার্তা, দুর্নীতি'র কোনও প্রমাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকুন। নিশ্চিন্তে এসি ঘরে বিশ্রাম নিন। কিন্তু দুর্নীতি'র প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচতে পারবে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতিও বাঁচাতে পারবে না বলে স্পষ্ট বার্তা মিঠুন চক্রবর্তীর। তাঁর মতে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন মেনে সব কিছু চলবে বলেই দাবি বিজেপি নেতার।
অন্যদিকে গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই বিষয়ে মিঠুনের দাবি, "আন্দোলনকারীরা সত্যিই কষ্ট করছেন। আমাদের উচিত তাঁদের পাশে থাকা।"
উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতর তদন্ত করছে সিবিআই। আর্থিক লেনদেন বিষয়টি দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই মামলার তদন্তে নেমেরাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীপারথ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রহস্যের উদঘাটনে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। আর এর মধ্যেই মিঠুনের এহেন দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাতেও সরকার ভাঙার ইঙ্গিত। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন বলেন, একদিন মুম্বইতে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বিজেপি সরকার গঠন করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে এমন একদিন তো ঘটতেই পারে। আর তা বলতে গিয়ে বিজেপি নেতার দাবি, অন্তত ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়কের আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কে আছে।