আসনে দ্রৌপদী
পার্লামেন্টের ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল হলে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্নার হাত ধরে দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি এবং এই আসনে বসা প্রথম উপজাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
দ্রৌপদীর ভাষণ
নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি ভাগ্যবান যে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এই সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আমিই স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেছি। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
নিজের প্রসঙ্গে
তিনি বলেন যে, আমি একটি ছোট গ্রাম থেকে এসেছি এবং সেই গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়াও কঠিন। আমি এই স্তরে প্রথম শিক্ষা লাভ করেছি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার পদোন্নতি শুধু আমার অর্জন নয়, এই কৃতিত্ব দেশের সকলের। তারাও এই স্তরে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতে পারেন।আপনার বিশ্বাস এবং সমর্থন আমার এই নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য একটি বড় শক্তি হবে।
নতুন জীবন
আমার জীবনে এখন পর্যন্ত, আমি সরকারি চাকরিতেই জীবনের অর্থ অনুভব করেছি। জগন্নাথ অঞ্চলের বিশিষ্ট কবি ভীম ভোঁইজির কবিতার একটি লাইন রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, "মো জীবন পাচে নরকে পড়ি থাউ, জগৎ মুক্তি হেউ"। অর্থাৎ নিজের জীবনের কল্যাণের চেয়ে বড় করে জগতের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
তিনি ময়ূরভঞ্জ জেলার একজন সাঁওতাল। দ্রৌপদী মুর্মুর প্রয়াত স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু একটি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। তাঁর একমাত্র জীবিত সন্তান ইতিশ্রী মুর্মু ভুবনেশ্বরের একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। অন্যদিকে তাঁর দুই ছেলে মারা যান ২০০৯ ও ২০১২ সালে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ শুরুর পরে তিনি সেচ বিভাগে জুনিয়র সহকারীর কাজ করেছেন। তাঁর বাবা ও দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতে গ্রামপ্রধান ছিলেন। দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৯৭ সালে রায়রাংপুর পুরসভার সদস্য হন। পরে তিনি সেই পুরসভারই চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন।