কী বলেন মুফতি ?
সোমবার মেহবুবা মুফতি বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে আক্রমণ করে বলেছেন যে তিনি ভারতীয় সংবিধানের মূল্যে বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণ করেছেন। তাঁর কথায়, "বিদায়ী রাষ্ট্রপতি এমন সব কাজ করে গিয়েছেন যেখানে ভারতীয় সংবিধানকে বহুবার পদদলিত করা হয়,"। মুফতি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নিন্দা করার সময় ৩৭০ ধারা, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন এবং দেশে "সংখ্যালঘু ও দলিতদের নির্বিচারে টার্গেট করা" এর কথা উল্লেখ করেছেন।
বিদায়ী ভাষণেও বিরোধীদের নিশানা
প্রসঙ্গত কোবিন্দ তাঁর বিদায়ী ভাষণেও বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে,মানুষের বিরোধিতা করার এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য চাপ সৃষ্টি করার অধিকার আছে, কিন্তু তাদের পদ্ধতি অবশ্যই গান্ধীবাদী হতে হবে। বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের কারণে সংসদীয় কার্যক্রম প্রায়শই ব্যাহত হয়েছে।
কী বলেন কোবিন্দ ?
কোবিন্দ বলেছেন যে তিনি নিজেকে সর্বদা বৃহত্তর পরিবারের একটি অংশ হিসাবে বিবেচনা করতেন, যার মধ্যে সংসদ সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যে কোনও পরিবারের মতো তাদের মাঝে মাঝে মত পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানাতে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
যাত্রা শুরু দ্রৌপদী মুর্মুর
এদিকে দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। সংসদ ভবনের েসন্ট্রাল হলে তাঁক শপথ বাক্য পাঠ করান দেশের প্রধানবিচারপতি। তাঁর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী। এই প্রথম দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক পদে বসলেন কোনও রাষ্ট্রপতি পদে বসলেন কোনও আদিবাসী নেত্রী।
দ্রৌপদী মুর্মুর সামান্য স্কুল শিক্ষিকা থেকে রাইসিনা হিলসে যাওয়ার পথটা মোটেই সুখকর ছিল না। এই পথ অতিক্রম করতে যেমন উৎসাহ পেয়েছেন, ঠিক তেমনই পরিবারের একাধিক খুব কাছের সদস্যদের দ্রৌপদী মুর্মু হারিয়েছেন খুব কম সময়ের ব্যবধানে।দেশে স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে একের পর এক ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠন হয়েছে। কিন্তু সাঁওতালদের ক্ষেত্রে তা অপূর্ণই রয়ে গিয়েছে। সাঁওতালরা বাংলা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড, দেশের এই তিন রাজ্যে বসবাস করেন। যখন তাঁরা ওড়িশায় থাকেন তখন ওড়িয়া, যখন বাংলায় থাকেন বাঙালি। এক্ষেত্রে তিনি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একজন সাঁওতাল।
দ্রৌপদী মুর্মুর প্রয়াত স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু একটি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। তাঁর একমাত্র জীবিত সন্তান ইতিশ্রী মুর্মু ভুবনেশ্বরের একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। অন্যদিকে তাঁর দুই ছেলে মারা যান ২০০৯ ও ২০১২ সালে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ শুরুর পরে তিনি সেচ বিভাগে জুনিয়র সহকারীর কাজ করেছেন। তাঁর বাবা ও দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতে গ্রামপ্রধান ছিলেন। দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৯৭ সালে রায়রাংপুর পুরসভার সদস্য হন। পরে তিনি সেই পুরসভারই চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন।