রবিবারের নির্দেশের সংশোধন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষন করেন বিচারপতি। আর সেই সমস্ত পর্যবেক্ষণ নির্দেশনামা থেকে মুছে দেওয়ার আর্জি আজ সোমবার জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চেই এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে। এসএসকেএমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভর্তি নিয়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ রবিবার করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাতেই কার্যত আপত্তি রাজ্যের মন্ত্রী'র।
যে অংশগুলি মুছে ফেলার আর্জি সেগুলি হল -
১) অভিযোগ হল, চাকরি দেওয়ার নামে FIR এ নাম থাকা অভিযুক্তরা টাকা নিয়েছেন।
এই ধরনের দুর্নীতিপূর্ন আচরণের মাধ্যমে বিপুল টাকা সংগ্রহ করেছেন অভিযুক্তরা।
২) কেস ডাইরি থেকে দেখা যাচ্ছে যে তল্লাশি অভিযানের সময় অভিযুক্তের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। ফলে আইনজীবী থাকতে না দেওয়ার যে অভিযোগ অভিযুক্ত তুলেছেন তা সম্ভবত মিথ্যা।
৩) বর্ষিয়ান কেবিনেট মন্ত্রী যার অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তার পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং যদি এটা ঘটে তাহলে বিচার ব্যবস্থা হাজার হাজার যোগ্যপ্রার্থীদের অশ্রু ধারায় অভিশপ্ত হবে যাদের ভবিষ্যৎ টাকার লোভে বলি প্রদত্ত হয়েছে।
এহেন আবেদনের ভিত্তিতে আদালত কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই নজর সবার। উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে এসএসসি শিক্ষক দুর্নীতি মামলাতে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর এরপর শনিবার দালতে তোলা হলে দুদিনের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নির্দেশ দেয় আদালত।
আর এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমে ভর্তি করানোর আর্জি জানানো হয়। আবেদনে বলা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বয়স হয়েছে। একাধিক রোগ রয়েছে। ফলে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়। আর এরপরেই এসএসকেএমে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
পালটা ইডির তরফে আবেদন জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, এসএসকেএম নয়, অন্য কোনও হাসপাতালে ভতি করানোরা আর্জি জানানো হয়। যদিও তা মান্যতা দেয়নিকোর্ট। এরপর রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। আর সেই সংক্রান্ত মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয় এসএসকেএম কর্তপক্ষকে। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। আর এর মধ্যেই আজ সোমবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ফের একবার আবেদন করলেন কলকাতা হাইকোর্টে।