নাম ছিল পুতি
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ওড়িশারই এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাঁর আসল নাম ছিল পুতি। স্কুলের শিক্ষক, 'ভালর জন্য' নাম পরিবর্তন করে দ্রৌপদী করে দেন।
দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দ্রৌপদী তাঁর আসল নাম ছিল না। এটি শিক্ষক দিয়েছিলেন। যিনি ময়ূরভঞ্জ নন, অন্য জেলার বাসিন্দা।
তিনি জানিয়েছেন, ১৯৬০-এর দশকে ময়ূরভঞ্জ জেলার শিক্ষকরা বালাসোর কিংবা কটক থেকে যাতাযাত করতেন।
বেশ কয়েকবার নাম পরিবর্তন
দ্রৌপদী মুর্মু আরও জানিয়েছেন, নাম ভাল না লাগায় স্কুলের শিক্ষক নাম পরিবর্তন করেছিলেন। তবে নাম বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। দুরপাদি থেকে দর্পদি এবং এই রকম আরও বেশ কিছু।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সাঁওতালি সংস্কৃতিতে মেয়ের নাম হয় তার ঠাকুরমার নাম নেয়। আৎ ছেলে হলে তাঁর ঠাকুরদার নাম নেয়।
টুডু থেকে মুর্মু
দ্রৌপদী মুর্মু জানিয়েছে স্কুল ও কলেজে তাঁর উপাধি ছিল টুডু। তবে ব্যাঙ্ক আধিকারিক শ্যামাচরণ টুডুর সঙ্গে বিয়ের পরে তিনি মুর্মু উপাধি ব্যবহার করতে শুরু করেন।
জাঁকজমক-পূর্ণ শপথ গ্রহণ
এদিন সংবিধান ও আইনরক্ষার জন্য হিন্দিতে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। জাঁকজমক-পূর্ণ ছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। রাষ্টপতি ভবন থেকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে
সংসদ ভবন পর্যন্ত জাঁকজমক-পূর্ণ প্রশেসনের মাধ্যমে যান দ্রৌপদী মুর্মু। আর শপথের পরে দ্রৌপদী মুর্মু এবং রামনাথ কোবিন্দকে নিয়ে যাওয়া হয় সেন্ট্রাল হলে বাইরে। ২১ বার তোপধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয়
দ্রৌপদী মুর্মুকে। নতুন রাষ্ট্রপতি প্রবল করতালির মধ্যে শপথের নিবন্ঝনে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে নতুন রাষ্ট্রপতিকে তিন বাহিনীর তরফে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
এদিন তিনি শপথ গ্রহণের পরে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর ৭৫ বছরে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, সব দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। ২৬ জুলাই
কারগিল দিবস। যে কারণে এ দিন তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশের সবনাগরিককে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।