ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সঞ্জু স্যামসন। এখনও পর্যন্ত যেই দু'টি ওডিআই ম্যাচে সঞ্জু খেলেছেন সেই দু'টিতেই নিজের ফিল্ডিং এবং দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ব্যাটিং-এর মধ্যে দিয়ে দলকে নির্ভরতা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার মধ্যেও সঞ্জু স্যামসনের পারফরম্যান্স খুশি করতে পারেনি অনেক ক্রিকেটপ্রেমীকে।
প্রথম একদিনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু রান উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে রক্ষা করেন সঞ্জু। তাঁর দুরন্ত উইকেটরক্ষা কাজে আসে যখন প্রথম ম্যাচটি ভারত জেতে তিন উইকেটে। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করতে না পারলেও দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। এই ইনিংস আরও দীর্ঘায়িত হতে পারত যদি না রান আউট হয়ে ডাগ আউটে ফিরতে হত এই বছর আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালসকে ফাইনালে তোলা অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে। তিনটি ছয় এবং তিনটি চার দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন সঞ্জু।
পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করার সময়ে শুধু ব্যাট হাতেই দলকে সাহায্য করেননি সঞ্জু উইকেট রক্ষা করার সময়ে কমপক্ষে নিশ্চিত ২০ রান বাঁচান তিনি। অধিকাংশ সঞ্জুর উইকেটরক্ষাকে প্রশংসিত করলেও অনেকে তাঁর উইকেটরক্ষার স্কিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই 'তৃতীয় শ্রেণির' উইকেটরক্ষক বলে তাঁর দিকে তির্যক আক্রমণ শানায়। রোমারিও শেফার্ডের পায়ের তলা দিয়ে বাউন্ডারির অভিমুখে যাওয়া বল প্রথম ওডিআই-এ দুরন্ত দক্ষতায় বাঁচান স্যামসন, প্রায় একই রকম কার্বন কপি সেভ তিনি দ্বিতীয ওডিআই ম্যাচেও মহম্মদ সিরাজের বলে। অর্ধ শতরান করলেও অকারণেই তাঁকে ট্রোল করা হয়। যে ট্রোলিং-এর কোনও মানে নেই। অতীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ঘরোয়া ক্রিকটে তাঁর ব্যর্থতাকে তুলে ধরা হয়।
প্রথম ম্যাচে ভারত তিন রানে জয় পাওয়ায় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে দুই উইকেটে জয় তুলে নেওয়ায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে নিয়েছে ভারত। ওডিআই সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ অর্থাৎ শেষ তথা তৃতীয় ওডিআই ম্যাচটি ভারতীয় দল খেলবে ২৭ জুলাই পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালেই।