অনেক প্রতিভার অধিকারী
অনেক প্রতিভার অধিকারী মেয়ে হান্না শুধুমাত্র তার শিক্ষায় পারদর্শী নয়, ১৫ জুলাই একটি বইও চালু করেছে সে , যা 'ওয়েলকাম হোম' নামে ছয়টি অল্পবয়সী মেয়ের ছয়টি ছোট গল্প নিয়ে গঠিত।
বাবা-মা'কে কৃতিত্ব
তাকে একটি সাধারণ স্কুলে ভর্তির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তার বাবা মায়ের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে হান্না বলেছেন, "আমাকে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কুলে ভরতি করে দেওয়ার পরিবর্তে, আমার বাবা-মা আমাকে একটি সাধারণ স্কুলে ভর্তি করার কথা ভেবেছিলেন যাতে আমি কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হই।"
চালিয়ে গিয়েছে লড়াই
তিনি আরও বলেন যে স্কুলে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছিল কিন্তু সে দমে যায়নি। সে বলেছে , "আমাকে উত্যক্ত করা হয়েছিল, আমি অল্পবয়সী ছিলাম এবং বড় হওয়ার পরেও আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু আমি জানি যে আমি আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমি এই ধরণের চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হব৷ তাই শৈশব থেকেই তাদের মোকাবিলা করছি৷ জীবনে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাকে শক্তিশালী করেছে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে সে যখন পড়াশোনা বা সুযোগ আসে তখন তার বাবা-মা তার সাথে আলাদা আচরণ করেন না। তিনি যোগ করেছেন, "আমার বাবা-মায়ের জন্য, আমি বিশেষ নই। আমরা তিনজনই সমানভাবে বিশেষ। তিন সন্তানের মধ্যে আমি সবার বড়। তারা কখনোই আমাকে বলেনি যে আমি আলাদা। তারা সবসময় বলত তুমিও অন্য শিশুদের মতো, আমি যে কোনও কিছু করতে পারি যা অন্য বাচ্চারাও পারে। আমার বন্ধুরা যখন দৌড়াচ্ছিল, তখন আমিও দৌড়াতে চাইতাম। আমার বাবা-মা আমাকে স্কুলের মাঠে নিয়ে যেতেন এবং আমার হাত ধরে আমার সাথে দৌড়াতেন।"
কী বলছেন বাবা
হান্নার বাবা, সাইমন ম্যাথিউস মেয়ের আত্মবিশ্বাস এবং মনোভাবের জন্য তার মা লিজা সাইমনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। সাইমন ম্যাথিউস বলেছেন, "হান্না যখন একটি শিশু ছিল, তখন ওঁর বন্ধুরা তাকে বন্ধুত্বের বাইরে রেখেছিল। হান্নার মায়ের ওকে টেনে তোলার পিছনে অনেক বড় হাত রয়েছে। ওকে সর্বদা সমর্থন করেছে। ওকে এমনভাবে সমর্থন করেছে যা ওকে উত্সাহিত করেছিল, আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। এই সমস্ত অসুবিধা হানাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। হান্নাও সবকিছু বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল। সে চ্যালেঞ্জগুলোকে গ্রহণ করেছিল।"