কেন্দ্র সরকারের কাছে কোনও তথ্যই থাকে না
শনিবার টুইটারে মোদী সরকারকে রাহুল গান্ধী 'তথ্য নেই-এর সরকার' বলে উল্লেখ করেন। তিনি টুইট করে বলেন, 'এই সরকার আপনাদের বিশ্বাস করাতে চায় অক্সিজেনের অভাবে কেউ মারা যাননি। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি। লকডাউনের সময় হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি। কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি। কোনও সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়নি। এই সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। তাই কোনও জবাব দিতে হয় না।' এরপরেই তিনি মোদির একটি কথা টুইটারে উল্লেখ করেন। 'সব চাঙ্গা হ্যায়' (সব ঠিক আছে)। সম্প্রতি বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কথা উল্লেখ করেছিলেন।
সরব রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা
শুক্রবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে একই ধরনের টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে উল্লেখ করা হয়নি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা টুইটারে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুব ধুমধাম করে ঘোষণা করেছিলেন, সরকারের সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। তা কখনও ও কীভাবে করা হবে সে সম্পর্কে মনে হয় সরকার কিছু জানে না। তারপরেই তিনি রাহুল গান্ধীর মতো শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, এই সরকারের কাছে কখনই কোনও তথ্য থাকে না। তথ্য নেইয়ের সরকার।
উত্তর নেই সরকারের কাছে
বিরোধীরা সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে সরকারের কাছে তথ্য জানতে চায়। বিরোধীর করোনায় রোগীর মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানতে চাইলে সরকারের তরফে স্পষ্ট কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিসংখ্যান নেই। লকডাউনের সময় হেঁটে বাড়িতে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানতে চান বিরোধীরা। কিন্তু এক্ষেত্রেও সরকারের তরফে একই উত্তর পাওয়া যায়। এমনকী বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছিল, এই বিষয়ে পরিসংখ্যান দিতে পারেনি। বেসরকারি তথ্য বলছে, বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দীর্ঘ সময় ধরে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় দুই শতাধিক কৃষকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।