মেঘালয়ে মহা চাপে বিজেপি। দলের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রিসর্টে শিশু ও কিশোরীদের আটকে রেখে মধুচক্র চালাচ্ছেন। আর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মেঘালয়ে। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত এক রিসর্টে হানা দেয় পুলিশ এবং এর একটি তালাবন্ধ অস্বাস্থ্যকর ঘর থেকে ছয় শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিজেপি'র সহ-সভাপতি বার্নার্ড এন মারাক রিম্পু নামেও পরিচিত। তাঁকে ধরার জন্য পুলিশ তল্লাশিও শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে রিম্পু পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলার তুরা এলাকায় বিজেপি সহ-সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেমানবপাচারেট। অভিযোগ করা হয় ওই নেতা শিশুদের রিসর্টে আটকে রেখে সেখানে পতিতাবৃত্তি করাতো। নেতার বিরুদ্ধে এই এই অভিযোগ পেয়েই রিসর্টে পুলিশ হানা দেয়। এখনও পর্যন্ত ৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়।
মধুচক্র চালানো হচ্ছিল বার্নার্ডের রিসর্টে। মেঘালয় পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আতঙ্কিত ও বিধ্বস্ত উদ্ধার হওয়া সমস্ত শিশুই। কথাও বলতে পারছে না তারা ঠিক করে। মনে করা হচ্ছে রিম্পু ওই জায়গাটি পতিতাবৃত্তির জন্য ব্যবহার করতেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এমনটাই বলা হয়েছে।
বিজেপি নেতা যদিও পুলিশের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। বার্নার্ড বলেছেন, '' তারা কেউই অশালীন কোনও কাজে জড়িত নয় যাদের আটক করা হয়েছে। জোর করে রিসর্টে ঢুকে হেনস্থা করেছে পুলিশ। হেনস্থা করেছে কিশোরীদের। আমি ওদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম।''
ওই বিজেপি নেতা এই প্রসঙ্গে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বিরুদ্ধে নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কোনও পরোয়ানা ছাড়াই এটা করা হয়েছে। তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে হেনস্থা করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে রিম্পু অভিযোগ করেছেন। তিনি পলাতক নন। এই ঘটনায় তাঁর দাবি এমনটাই। এও বলেছে তিনি এই ঘটনায় যে তদন্ত হচ্ছে তাতে সব রকম সহযোগিতা করছেন তিনি।
সম্প্রতি সেখানকার সরকার সমস্যায় পড়েছিল স্কুলের শিক্ষকদের বেতন না দেওয়া নিয়ে। চার দিনের প্রতিবাদের পর মেঘালয়ের সর্বশিক্ষা অভিযানের শিক্ষকদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের মধ্যে চার মাসের বেতনের আশ্বাস দেওয়া হয়। পরে দেওয়া হয় বেতন। বৃহস্পতিবার, মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টোন টাইনসোং এসএসএ শিক্ষকদের একটি বৈঠকের জন্য ডেকেছিলেন যেখানে শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং এরপরের দিন ওই শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়।