মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতে নিল বার্সেলোনা। মরসুম শুরুর আগে একটি প্রি-সেশন ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আমেরিকায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলেও একেবারেই বন্ধুপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে এই দুই দলের ফুটবলাররা নামেননি একে অপরের বিরুদ্ধে। এল ক্লাসিকো বা বিশ্বের যে কোনও ডার্বি কখনওই ফ্রেন্ডলি হতে পারে না কারণ দুই দলের রেশারেশি অটুট থাকবেই তা যতই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হোক। ম্যাচের মধ্যে উত্তেজনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। দুই দলের ফুটবলাররা বিবাদেও জড়ান ম্যাচের মধ্যে। দেখে বোঝার উপায় ছিল না এটি ফ্রেন্ডলি চলছে, সম্পূর্ণ প্রতিযোগীতা ম্যাচের মতো ছিল পরিবেশ।
এলিগেন্ট স্টেডিয়ামে একটি মাত্র গোলই হয়েছে এবং সেই গোলটি এসেছে এই মরসুমে বার্সেলোনার নতুন সই রাফিনহার পা থেকে। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর বাম পায়ের বুলেট গতির শট জড়িয়ে যায় জালে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের অন্যকম প্রধান ফুটবলার থিবট কুর্তোয়ার কাছে সুযোগ ছিল না ওই বলের গতিপথ পরিবর্তন করা বা তাকে রোধ করা।
অনেক প্রত্যাশা জাগিয়ে প্রিমিয়ার লিগ থেকে লা লিগায় এসেছন রাফিনহা। লিডস ইউনাইটেড থেকে তাঁকে সই করিয়ে বার্সেলোনা। মোটা অর্থের বিনিময়ে রাফিনহাকে সই করিয়েছে বার্সা। এই ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার নিজের আগ্রহী ছিলেন কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে খেলার জন্য। রাফিনহার এই গোল কিছুটা স্বস্তি দেবে বার্সেলোনার সমর্থকদেকর। কারণ বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার লিওনেল মেসি দল ছাড়ার পর ডান দিক দিয়ে আক্রমণ তুলতে এবং গোল করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল বার্সেলোনাকে। গত মরসুমে ওসমানে ডেম্বেলে বা সার্জিও ডেস্টকে খেলালেও বিশেষ লাভ হয়নি। না হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ ফুটবল ঈশ্বর নিজের অভাব নিজেই একমাত্র ভরাট করতে পারেন তেমনই মেসির অভাব কেউই ভরাট করতে পারবে না তা অলিখিত সত্য। রাফিনার আগমনে মহানক্ষত্রের কিছুটা অভাব মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন এই ক্লাবের অগুণিত সমর্থক।
এখন পর্যন্ত তিনটি প্রি-সিজন ফ্রেন্ডলি খেলেছে বার্সেলোনা যার মধ্যে তারা জিতেছে দুইটিকে। রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলার আগে মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মিয়ামিকে ৬-০ গোলে পরাজিত করেছে বার্সা। এখনও দু'টি প্রি-সিজন ফ্রেন্ডলি খেলবে বার্সেলোনা। এর পর তারা অংশ নেবে জোয়ান গ্যাম্পার ট্রফিতে। এর পর তারা মাঠে নামবে লা লিগার নতুন মরসুমে। ২০২২-২৩ মরসুম শুরুর আগে একাধিক ফুটবলারেকে নিয়েছে বার্সেলোনা কিন্তু দেখার বিষয় হল লা লিগার স্যালারি ক্যাপে কড়া নজরদারির মধ্যে তাদের সকলকে রেজিস্ট্রার করতে পারে কি না ক্লাব।