পিএফআই-এর সমর্থনে কী বললেন আরজেডি সভাপতি
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি জগদানন্দ সিং পিএফআইয়ের সমর্থনে বলেন, 'একটা সংগঠন যারা নিজেদের সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করছে। সেই সংগঠনকে দাঙ্গাবাজ বা দেশবিরোধী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন? আরএসএস ভয় পেয়েছে বলেই তাদের দেশবিরোধী তকমা দেওয়া হচ্ছে।' তিনি পাল্টা দাবি করেন, নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে বেশিরভাগ পাকিস্তানি চর আরএসএস বা হিন্দু হয়। এই পাকিস্তানি গুপ্তচররা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। পাকিস্তানে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দেশবিরোধী তকমা দেওয়া হয় কেন বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন। পাকিস্তানে বাস করা আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে দেশ বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার সম্পর্ক কোথায়। কী দেশ বিরোধী কাজ করেছে, তা প্রমাণ করা উচিত।
কংগ্রেসের তীব্র প্রতিক্রিয়া
আরজেডি সভাপতির এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিজেপি নেতা সন্তোষ সিং। তিনি অভিযোগ করেছেন, জগদানন্দ সিংয়ের এই ধরনের দেশবিরোধীদের সমর্থনের জন্য মামলা করে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, দেশবিরোধী মন্তব্য করার জন্য এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। তখন দেশবিরোধী মন্তব্য করা বেরিয়ে যাবে। কংগ্রেস আরজেডি ও বিজেপিকে একসঙ্গে কটাক্ষ করেন। অসিত নাথ তিওয়ারি বলেন, যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই একটা করে পিএফআই আর আরএসএস মডেল তৈরি হয়েছে। সেখানে হিন্দু ও মুসলামদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। যার জেরে বিজেপি লাভবান হতে থাকে। আর এফপিআইয়ের মতো সংস্থাগুলোর ওপর মুসলমানরা নির্ভর করতে শুরু করে। যার জেরে বিভেদ বাড়তে থাকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে।
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া কী কাজ করে
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই একটি মুসলিম সংগঠন। গত বছর ত্রিপুরাতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির নেপথ্যে পিএফআইয়ের উসকানি রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। উদয়পুরে নির্মম হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিএফআইয়ের মদত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও কেরলে পিএফআইয়ের সংগঠন সক্রিয়। গোয়েন্দা উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পিএফআইয়ের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছে, পিএফআই বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করত।