অরুণাচল প্রদেশে চিন সীমান্তের কাছে রাস্তা তৈরির প্রকল্পের নিখোঁজ ১৯ জন শ্রমিকের মধ্যে সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অরুণাচলপ্রদেশের কুরুং কুমে জেলার একটি ঘন জঙ্গল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ শ্রমিকেরা সকলেই অসমের বাসিন্দা। ইদে ছুটি না পাওয়ার কারণেই তাঁরা কর্মস্থল থেকে পালিয়েছিলেন।
অরুণাচলপ্রদেশের কুরুং কুমে জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক করণ খোলি বলেছেন, দামিন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে চার জন শ্রমিককে খুঁজে পান। এরপরে হুরি এলাকা থেকে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে একটি গভীর জঙ্গল থেকে তিন জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। হুরিতেই একটি রাস্তা তৈরির প্রকল্পে কাজ করছিলেন নিখোঁজ শ্রমিকরা। নিখোঁজ বাকি শ্রমিকদের সন্ধানে জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন বায়ু সেনার সদস্যরা। এই হুরি অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর থেকে ২৪৯ কিলোমিটার দূরে। চিন সীমান্ত থেকে ৮০-৯০ কিলোমিটার দূরে। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারের সময় শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাঁরা খুব দুর্বল ছিলেন। উদ্ধারের পর তাঁদের বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু তাঁদের কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৫ জুলাই ১৯ শ্রমিক বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের অধীনে একটি বেসরকারি ঠিকাদারের হয়ে কাজ করছিলেন। তাঁরা সকলেই অসমের বাসিন্দা। ইদের সময় ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শ্রমিকদের সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপরেই ১৯ জন শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অরুণাচল প্রদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৯ জন শ্রমিক জঙ্গলে প্রবেশের সময় দুটো দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা ওই জঙ্গল অতিক্রম করে অসমে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এতদিন তাঁরা কীভাবে ছিলেন সেই নিয়ে কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
বাকিদের সন্ধানে জারি তল্লাশি অভিযান
জানা গিয়েছে, দুর্বল যোগাযোগের কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছে শ্রমিকদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তথ্য ১৩ জুলাই আসে। এরপরেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। রাজ্যের মোকাবিলা বাহিনীর ২৬ জন সদস্য উদ্ধারকাজ শুরু করছে। নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযানে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অসমের তেজপুর থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।