ফরম্যাট বেছে খেলবেন ক্রিকেটাররা
রবি শাস্ত্রী স্কাই স্পোর্টসের বিশেষজ্ঞের ভূমিকা পালনের ফাঁকে বলেন, এবার থেকে ক্রিকেটাররা নিজেদের পছন্দের ফরম্যাট বেছে নিয়ে খেলতে চাইবেন। হার্দিক পাণ্ডিয়াও যে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর স্টোকসের মতো এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে পারেন, তেমনই ইঙ্গিত দেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে ৫০ ওভারের ফরম্যাট পিছিয়ে পড়বে। কিন্তু তা জীবিত রাখতে ফোকাস করা উচিত বিশ্বকাপকেই। আইসিসিরও উচিত বিশ্বকাপকেই গুরুত্ব দেওয়া। তা সে টি ২০ বিশ্বকাপই হোক বা ৫০ ওভারের। টেস্ট ক্রিকেট থাকবেই, কারণ খেলার ক্ষেত্রে এই ফরম্যাটের গুরুত্ব অনেকটাই। এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে যে, ক্রিকেটাররা পছন্দসই ফরম্যাট বেছে নিচ্ছেন।
হার্দিককে নিয়ে শাস্ত্রী
রবি শাস্ত্রী বলেন, হার্দিক পাণ্ডিয়াকেই দেখুন। হার্দিক টি ২০ খেলতে চান। তিনি মানসিকভাবেও প্রস্তুত যে, টি ২০-র থেকে বেশি গুরুত্ব তিনি অন্য ফরম্য়াটে দিতে চান না। হার্দিক ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলছেন আগামী বছর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ আছে বলে। তারপর হয়তো দেখা যাবে এই ফরম্যাট থেকে তিনি সরে যাচ্ছেন। অন্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও এমনটাও হবে। যে ফরম্যাটে খেলতে চাইবেন, সেই ফরম্যাটকেই বেছে নেবেন ক্রিকেটাররা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি বনাম আন্তর্জাতিক
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটা মানতেও দ্বিধা নেই রবি শাস্ত্রীর। তিনি বলেন, বাস্তবের উপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন কী চলছে সেটা দেখতে হবে। ৫-১০ বছর আগে আমার মতো প্রাক্তনরা যা বলেছেন সেটাই এখন হচ্ছে। বাস্তবের মাটিতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ না করলে সবচেয়ে বড় নকআউট পাঞ্চ খাওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। শুধু আইসিসির প্রশাসকরাই নন. চাহিদা ও অর্থনীতির বিষয়ে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ক্রীড়াসূচি নিয়ে বাস্তবোচিত পদক্ষেপ করতে হবে বিভিন্ন বোর্ডের প্রশাসকদের।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ প্রসঙ্গে
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দাপট যে ক্রমেই বাড়বে সেটাই উপলব্ধি ভারতের প্রাক্তন হেড কোচের। আর সে কারণেই আন্তর্জাতিক সূচিতে কাটছাঁটের পক্ষেই সওয়াল করেছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সংখ্যা কমাতে হবে। কেন না, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ক্রিকেটারদের খেলা ঠেকানো কারও পক্ষে সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন টি ২০ লিগ শুরু হচ্ছে। তাতে দল কিনেছে আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিই। ভারতের পুরুষ ক্রিকেটারদের বিদেশের লিগে খেলার অনুমতি এখনও নেই। তবে প্রোটিয়াদের দেশের লিগের জন্য অবস্থান বদলাতেই পারে বিসিসিআই।