|
বান্ধবীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক
শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক এড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস। বাম আমলে বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি তৃণমূলের মহাসচিব আর ২০১১ সালের পরে শিক্ষা-শিল্পের মতো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীর পদ সামলেছেন।
আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে নাকতলা উদয়ন সংঘের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সম্বোধন করেছেন, তাতেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
|
তৃণমূলের মঞ্চ আলো করে অর্পিতা
ছবি দিয়ে টুইট করার পরে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলের মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। যেখানে নাম করা নেতারা সুযোগ পাননি সেখানে জায়গা পেয়েছিলেন অর্পিতা।অর্পিতাকে তৃণমূলের নেত্রী বলেও বর্ণনা করেছেন বিরোধী দলনেতা।
বান্ধবীর পিছনে টাকা খরচ
এদিন প্রশ্ন করা হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় টাকা খরচ করেছেন তাঁর বান্ধবীদের পিছনে। তিনি বলেন, শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা যা বেরোচ্ছে, তা ভয়ঙ্কর। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ব্রুনেইয়ের সুলতানের এত বান্ধবী ছিল না।তিনি দাবি করেন, এই টাকার একটা ভাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলও পেয়েছে।
পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে ফিনান্স করেছেন
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় খামে ভরে নদিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় টাকা দিয়েছেন দলের কর্মীদের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পার্থ চট্টোপাধ্যা ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়ার রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের ফিনান্সার ছিলেন তিনিই।
২০১৯-এ নদিয়ার করিমপুরে বিধানসভার উপনির্বাচনে যে টাকা খরচ হয়েছিল, তার মধ্যে অ্যাকাউন্টের টাকা আরটিজিএস করে পাঠিয়েছিলেন সুব্রত বক্সি। আর অ্যাকাউন্টের বাইরে যে টাকা খরচ করা হয়েছিল, তা দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে টাকা তুলেছিলেন, তার একটা অংশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনজয় করেছেন। ফলে এর থেকে পালানোর কোনও রাস্তা নেই।
টাকা তুলে ভাইপোর হাতে
শুভেন্দু অধিকারী এদিন অভিযোগ করেন, মদ থেকে যে টাকা ওঠে, তার একটা অংশ ভাইপোর কাছে যায়। অন্যদিকে পিবি সেলিমরা যে টাকা তুলে ভাইপোকে দেন। পঞ্চায়েতের সচিব করা হয়েছে উলগানাথনকে। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ছিলেন। নিজের একটা কোম্পানির নামে এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে আড়াইশো কোটি টাকার কাজ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, সব প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের স্বামী শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী। তিনি এবং জনৈক দিলীপ আগরওয়াল প্রতিমাসে পূর্ব বর্ধমানের বালি মাফিয়াদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৪৫ লক্ষ টাকা তুলে ভাইপোর কাছে পাঠাচ্ছেন। আর বাকি যা আছে, তা আগামী সপ্তাহে সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।