দলের কোনও সম্পর্ক নেই। গতিপ্রকৃতি কোনদিকে এগোচ্ছে?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। আবার তিনি তৃণমূলের মহাসচিব। এতদিন দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দীর্ঘ জেরা ও গ্রেফতারির পরও তৃণমূল নিষ্ক্রিয়। তৃণমূল বলছে, এই জেরা বা গ্রেফতারির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে গতিপ্রকৃতি কোনদিকে এগোচ্ছে?
পার্থর পাশে কি থাকবে তাঁর দল তৃণমূল?
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠতেই তৃণমূল তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস যেমন আশ্চর্যজনকভাবে চুপ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে, তেমনই দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এই শিক্ষক দুর্নীতির। এখন তাই ধন্দ তৈরি হয়েছে, দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে কি না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কী অবস্থান তৃণমূলের
এর আগে সিবিআই একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। সিবিআই দফতরে তাঁকে তলব করে জেরা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ঢুকে পড়ে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রীর বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর তদন্তের মুখ অন্যদিকে ঘুরে যায়। টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে। ওই টাকার উৎস নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। আর ইডির গ্রেফতারির পর তৃণমূল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কী অবস্থান নেয় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
বিক্ষোভে নেই তৃণমূল, প্রতিবাদ আছে
তৃণমূলের তরফে রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা চান না তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠুক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তদন্তে কী উঠে আসে, তাঁরাও দেখতে চান। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল এই জেরার তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁরা এই অমানবিক জেরার বিরুদ্ধে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হাইকোর্ট ইডিকে হেনস্থা করতে বলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। হাইকোর্ট সিবিআইয়ের কথা বলছে, আর এখন ইচ্ছে করে তছরূপের মামলা ঢোকানো হচ্ছে। ইডিকে ঢুকিয়ে এসব করা হচ্ছে বেইজ্জত করতেই।
সারদা-নারদে পাশে তৃণমূল, শিক্ষক দুর্নীতিতে নেই
এর আগে তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। সারদা থকে নারদ, এখন আবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি- নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগে একাধিক নেতানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এমনকী গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিক নেতা-নেত্রীকে। মদন মিত্র থেকে শুরু করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে দল তাঁদের পাশে থেকেছে। বিশেষ করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা মদন মিত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর আশ্চর্যজনকভাবে নীরব তৃণমূল।