সক্রিয় কেস ও সুস্থতার হার
এই মুহূর্তে সক্রিয় কেস মোট সংক্রমণের ০.৩৪ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিমাণ ৯৮.৪৬ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। এমনটাই বলছে মন্ত্রালয়। এই রোগ থেকে মোট সুস্থ হয়ে করা ওঠার সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৭৯ জনে পৌঁছে গিয়েছে এবং করোনার জেরে মৃত্যুর হার ১.২০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
টিকা নেওয়া এবং নমুনা পরীক্ষা
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের আওতায় এ পর্যন্ত দেশে ২০১ কোটি ৬৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৭১ ডোজ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) অনুসারে, ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮৭ কোটি ২১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪০৭ জন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে করোনার জন্য। এর মধ্যে শুক্রবার ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ২০২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
রাজ্যে করোনা
শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলায় করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ২৩৭ জন। যা গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা হলেও কম। যা অবশ্যই ভালো দিক বলছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও ২ হাজারের উপরেই সংক্রমণের হার। আর সেই কারনেই একেবারে চিন্তা থাকছে না সেটা বলছেন না চিকিৎসকদের একাংশ। অন্যদিকে সংক্রমণ কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭। গত কয়েকদিন ধরেই সংখ্যাটা উপরের দিকে উঠছে। গত দুদিন ধরে ৬ জনের মধ্যেই আটকে ছিল সংক্রমণ। তবে এদিন তা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কলকাতায় সংক্রমণ
অন্যদিকে সংক্রমণের নিরিখে ফের একবার সবার আগে কলকাতা। এই জেলায় গত বৃহস্পতিবার ঘন্টায় ৪১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঠিক এরপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। এই জেলাতে গত ২৪ ঘন্টাতে ৩৯০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে একেবারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বীরভূম। আজ শুক্রবারও নতুন করে এই জেলায় ২৩৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান নিয়েও চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকদের। প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এই জেলার সংক্রমণ।