গ্রেফতার করা হল মডেল অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। শুক্রবার রাতেই তাঁর ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। আর এরপরেই আজ শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গাড়িতে তোলা হয়। তবে ফ্ল্যাট থেকে বেরতেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে শুরু করেন অর্পিতা।
চিৎকার করে বলতে শুরু করেন, আমি কোনও দোষ করিনি। সবটাই বিজেপি'র চক্রান্ত বলে দাবি ওই মহিলার। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তোলেন অর্পিতা। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি সম্পর্ক তা জিজ্ঞেস করা হলে এই বিষয়ে স্পিকটি নট থাকেন তিনি।
তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একেবারে ঘেরাটোপে ইএসআই হাসপাতালে এই মুহূর্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অর্পিতাকে। আর এরপরেই সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের অন্তত ১৩টি জায়গাতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।
এমনকি দফায় দফায় প্রভাবশালীদের জেরা করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক নথি। আর সেই নথি পরীক্ষা করেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ পান ইডি'র তদন্তকারীরা। আর এরপরেই ওই মহিলার হরিদেবপুর এলাকার একট বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ জেরার পরেই সেই ফ্ল্যাট থেকেই বপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়।
Enforcement Directorate (ED) arrests Arpita Mukherjee, a close aide of West Bengal cabinet minister and former Education Minister Partha Chatterjee.
— ANI (@ANI) July 23, 2022
ED recovered huge cash amounting to approximately Rs 20 crores from her residence yesterday. pic.twitter.com/Ohu2izognH
আর এরপর থেকে গোটা রাত ধরে টাকা গোনার কাজ চলে। তাতে দেখা যায় প্রায় ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, প্রায় লক্ষধিক টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়। উদ্ধার করা হয় প্রচুর ফরেন কারেন্সি। প্রায় ৪০ টি ট্রাঙ্ক ভরে তা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে অর্পিতা'র দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২১ কোটি টাকা কোথা থেকে এল। এমনকি ২০ টি আইফোন কি কাজে লাগে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর মতে, সিবিআই কিংবা ইডি গিয়ে রেখে আসেনি এই টাকা। এমনকি সুকান্ত মজুমদারও যায়নি। তাহলে কীভাবে এল? প্রশ্ন বালুরহাটের বিজেপি সাংসদের।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে ইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।