আর্থিক মন্দার মুখে ভারত
দ্য ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে ত্রৈমাসিক একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যে হারে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে বলে আন্দাজ করা হয়েছিল, তা হবে না। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে দেশে আর্থিক বৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে হলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এফআইসিসিআই-এর তরফে প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, ভারত আর্থিক দিক থেকে মাঝারি ধরনের মন্দার সম্মুখীন হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, বিশ্বে ক্রমর্ধমান অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ভারত যে হারে এগোচ্ছে, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
বাড়বে রেপো রেট
এফআইসিসিআইয়ের সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে কৃষিক্ষেত্রে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। শিল্প ও পরিষেবা খাতে ৬.২ শতাংশ থেকে ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের অর্থনীতিতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব ৬.৭ শতাংশ পড়বে বলে সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পলিসি রেপো রেট ৪.৯ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ নাগাদে বেড়ে ৫.৬৫ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব
বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি চলছে। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের পর থেকে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে শুরু করেছে। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমি দেশগুলো একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে অপরিশোধিত তেল সহ একাধিক পণ্যের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রফতানি করতে পারছে না ইউক্রেন। যার জেরে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির জেরে বিশ্বের সঙ্গে ভারতে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি পেয়েছে। এশিয়ার একাধিক দেশের পাশাপাশি আমেরিকাতে মুদ্রাস্ফীতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি
ভারতের সঙ্গে ইউরোপের একাধিক দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। যার প্রভাব বাণিজ্যক্ষেত্রে পড়ছে। এছাড়াও ভারতের বাজারে সবরাহের সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য হারাতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা গিয়েছে, চিনের ভারতের আমদানি বাড়লেও রফতানি কমে গিয়েছে অনেকটা। যার প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে।