|
এক থ্রো-য় কামাল
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের পদকের খরা মেটাতে বড় বাজি নীরজ চোপড়াই। এই প্রতিযোগিতা থেকে ভারতের একমাত্র পদকটি এসেছিল ২০০৩ সালে। অঞ্জু ববি জর্জ সেবার লং জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তারপর থেকে চলছে ভারতের পদকের খরা। এদিন প্রথম প্রয়াসেই নীরজ চোপড়া পৌঁছে যান বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। গ্রুপ এ কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে তিনি বর্শা নিক্ষেপ করেন ৮৮.৩৯ মিটার। যা তাঁর তথা ভারতের জাতীয় রেকর্ডের (৮৯.৯৪ মিটার) চেয়ে কিছুটা কম। নীরজ ও টোকিও অলিম্পিকের রুপোজয়ী জাকুব ভাদলেখ (৮৫.২৩ মিটার) প্রথম প্রয়াসেই ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেন। এই গ্রুপে মাত্র তিনজন প্রথম প্রয়াসে ৮০ মিটারের বেশি জ্যাভলিন পাঠাতে সক্ষম হন।
|
পদকের খরা মেটার আশা
নীরজ চোপড়া ২০১৭ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৮৩ মিটারের অটোমেটিক কোয়ালিফিকেশন মার্ক পার করতে পারেননি, তিনি বর্শা ছুড়েছিলেন ৮২.২৬ মিটার। ২০১৯ সালে দোহায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেননি, কনুইয়ের অস্ত্রোপচার করানোর পর পুরো ফিট না হওয়ায়। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে তিনি নামবেন ভারতের দীর্ঘ পদকের খরা মিটিয়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নিজের প্রথম পদকটি ছিনিয়ে নিতে। অলিম্পিকের পাশাপাশি কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, সাউথ এশিয়ান গেমস ও বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন নীরজ।
|
জ্যাভলিন ফাইনালে রোহিত
নীরজের সঙ্গেই জ্যাভলিনের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন ভারতের রোহিত যাদব। রোহিত এদিন প্রথম থ্রো ৮০.৪২ মিটার দূরত্বে পাঠাতে সক্ষম হন। এর সুবাদেই পুরুষদের জ্যাভলিনে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে তিনি ফাইনালের ছাড়পত্র হাতে পেয়ে যান। গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স ছিলেন গ্রুপ বি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে। তিনিই সকলের শীর্ষে রয়েছেন। পিটার্সের থ্রো যায় ৮৯.৯১ মিটার। ফলে নীরজের সঙ্গে তাঁর জমজমাট দ্বৈরথ হতেই পারে। নীরজ যদি নিজের সেরা পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে যান তাহলে বেগ দিতে পারবেন পিটার্সকে।
|
ইতিহাসে পল
ট্রিপল জাম্পের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছেন ভারতের এলঢস পল। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি এই নজির গড়লেন। গ্রুপ এ কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ১৬.৬৮ মিটারের স্কোর করে তিনি ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। সামগ্রিকভাবে তাঁর অবস্থান ১২ নম্বরে। রবিবার ভারতীয় সময় ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি নামবেন এই বিভাগের ফাইনালে। এলঢসের সেরা পারফরম্যান্স অবশ্য ১৬.৯৯ মিটারের। এদিন তার চেয়ে কম স্কোরেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। গত এপ্রিলে ফেডারেশন কাপে তিনি নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। এলঢস ফাইনালে উঠলেও প্রবীণ চিত্রভেল ও আবদুল্লা আবুবাকার ফাইনালে উঠতে পারেননি। যাঁরা ১৭.০৫ মিটার পার করেছেন অথবা দুটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড মিলিয়ে সেরা ১২ জনের মধ্যে থেকেছেন তাঁরাই ফাইনালের টিকিট হাতে পান।