|
ইতিহাস স্মরণ মোদীর
প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে বলেছেন, ২২ জুলাই ইতিহাসে বিশেষ এখটি দিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে আমাদের জাতীয় পতাকা গৃহীত হয়েছিল। তেরঙ্গার সঙ্গে যুক্ত কমিটির বিশদ বিবরণ-সহ বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করার পাশাপাশি পণ্ডিত নেহরুর তোলা প্রথমতেরঙ্গার ছবিও তিনি শেয়ার করেছেন।
|
স্বপ্নের ভারত গড়ার স্বপ্ন
টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় যাঁরা স্বাধীন ভারতের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের অসামান্য সাহস ও প্রচেষ্টাকে আমরা স্মরণ করছি। আমরা তাঁদের স্বপ্নপূরণ এবং তাঁদেরস্বপ্নের ভারত গড়তে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি।
হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি
অগাস্ট মাসে তিন দিন ঘরে ঘরে পতাকা ওড়ানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সরকারি ভবন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অফিস ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, থানা, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, টোলপ্লাজায় জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচি এবছরের জন্য। অর্থাৎ স্বাধীনতার ৭৬ তম বর্ষের জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে এক প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন।
কর্মসূচি বিজেপি সরকারের
বিজেপির তরফে হর ধর তিরঙ্গা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সকালের মিছিলে ভক্তিমূলকগানের 'রঘুপতি রাঘব রাজা রাম এবং বন্দে মাতরম হাইতে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রামঠাকুর বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগ্রত করতে সরকার হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি নিয়েছে।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি নিয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি নাগরিককে তার বাড়িতে তেরঙ্গা লাগানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সারা দেশে ২০ কোটি বাড়িতে তেরঙ্গা
উত্তোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
২২ জুলাই থেকে সব সরকারি ওয়েবসাইটের সামনের দিকে তেরঙ্গার ছবি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষকে ফেসবুক, ইস্টাগ্রাম এবং টুইটারে তেরঙ্গার ছবি রাখতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
দলের তরফে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ১৬ জুলাই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে রাজ্য, জেলা, ব্লকস্তরের বিজেপি সভাপতিদের কড়া নির্দেশ দিয়ে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে।