খেজুরি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নয়া মোড়। চার্জশিট পেশ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। গত কয়েকমাস ধরে এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করছিলেন এনআইএ'র তদন্তকারী আধিকারিকরা। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এনআইএ আদালতে এই সংক্রান্ত চার্জশিট জমা পড়েছে।
যেখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সমর শঙ্কর মন্ডল সহ একাধিক ব্যক্তি'র নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি সেখানে রতন প্রামাণিক এবং কঙ্কণ করণের নাম রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ২৫০ পাতার একটি চার্জশিট এনআইএ'য়ের তরফে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এটিই প্রথম চার্জশিট জমা দেওয়া হল। যেখানে প্রায় ৭৮ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে'র কথা বলা হয়েছে বলে খবর। তবে চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর কিছু দাবি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পুরসভা নির্বাচনে ব্যবহার করতেই নাকি সেখানে বোমা তৈরি'র পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কার্যত সন্ত্রাস ছড়ানো'র কথাও উলেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
শুধু তাই নয়, বোমা বাধারকাজ চলাকালীনই নাকি সেগুলি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলেও দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে। তবে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জমা দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে আপাতত তদন্ত চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে চার্জশিটে তৃণমূল নেতাদের নাম থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
শানিয় তৃণমূল নেতার দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা মামলাতে ফাঁসানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে হেনস্থা করার চেষ্টা বলেও অভিযোগ শাসকদলের। যদিও বিজেপি'র দাবি অন্যায় না করলে ভয়ের কি আছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, জানুয়ারি মাসে খেজুরি পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি গ্রামে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এমনকি দুজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিস্ফোরণ বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ঘটনার সূত্রে পৌঁছতে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারও করা হয় বেশ কয়েকজনকে। আর সেই মামলার তদন্তে প্রথম চার্জশিট জমা দিল এনআইএ। আর সেখানেই তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে এই মামলাতে আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারে এনআইএ। এমনটাই জানা যাচ্ছে।