কীভাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ
শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের অন্তত ১৩টি জায়গাতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এমনকি দফায় দফায় প্রভাবশালীদের জেরা করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক নথি। আর সেই নথি পরীক্ষা করেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ পান ইডি'র তদন্তকারীরা। আর এরপরেই ওই মহিলার হরিদেবপুর এলাকার একট বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ জেরার পরেই সেই ফ্ল্যাট থেকেই বপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। পুরো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে রেখে চলে এই অভিযান।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ
ইডি'র দাবি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল দুজনের মধ্যে। এমনকি আইন উপদেষ্টা হিসাবেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কাজ করত বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি নাকতলা উদয়ন সংঘ যেটি কিনা পার্থবাবু পুজো বলেইগোটা বাংলা জুড়ে পরিচিত। সেই ক্লাবের পুজোতে ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে অপিতা কাজ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি প্রচারেও পার্থবাবুর সঙ্গে একাধিকবার অর্পিতাকে দেখা গিয়ছে বলে জানা যাচ্ছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা
নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে বড়সড় সাফল্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের। প্রাথমিক তদন্তে তদতকারীদের দাবি, বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়োগ দুর্নীতি থেকেই পাওয়া গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে দফায় দফায় অপিতাকেজেরা করছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে এই টাকা এল সেটাই খোঁজ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জেরা করা হচ্ছে। প্রায় ১০ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে চলছে জেরা পর্ব। এই টাকার সঙ্গে পার্থবাবুর কোনও যোগ রয়েছেসেটা জেরা করে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। যেহেতু তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে এই বিপুল টাকা উদ্ধার সেই কারণে পার্থবাবুকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলেই খবর।
প্রচুর কিছু উদ্ধার
শুধু টাকাই নয়, অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০ টি দামি আইফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এই ফোনগুলি কি কাজে লাগত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে একের পর এক তল্লাশিতে এখনও পর্যন্ত প্রচুর সোনার গয়না, জমির দলিল, এমনকি ফরেন কারেন্সিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এখনও তল্লাশি চলছে বলেই খবর।