ফিফার চাপে ইতিমধ্যেই নির্বাসনের খাঁড়া ঝুলছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের উপর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করা এবং ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না গেলে ভারতীয় ফুটবল দল নির্বাসনের মুখে পড়বে। এবার ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে সাসপেনশনের কড়া হুঁশিয়ারি দিল ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি।
ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন যেভাবে চলছে তাতে অসন্তোষের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আইওএ-র এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সব সদস্যকেই। আইওএ যদি সমস্ত শর্ত ও নিয়ম মেনে না চলে এবং অলিম্পিক সনদ ও সংবিধান অনুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারে, তাহলে সাসপেনশন-সহ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা যে নেওয়া হবে, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে আইওসি।
আইওসি অবশ্য আশাবাদী, এই বার্তা পাওয়ার পর আইওএ স্বাভাবিকভাবে সমস্ত প্রক্রিয়া মেনেই কাজ চালাবে। অলিম্পিক আন্দোলন ও দেশের অ্যাথলিটদের স্বার্থরক্ষায় সেই দায়িত্ববোধই তো প্রত্যাশিত। আইওসির চিঠির প্রেক্ষিতে আইওকে-ও নিজেদের অবস্থান ও পরবর্তী পদক্ষেপ জানাতে হবে। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বর মাসে আইওএ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিছু সংশোধনের কাজ চলছিল বলে আজ অবধি নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের আগে সংবিধানে প্রয়োজনীয় রদবদল ঘটানোর প্রক্রিয়া চালাতে ৬ সদস্যের কমিটি গড়েছিল আইওএ। জাতীয় ক্রীড়ানীতিকে মান্যতা দিতেই এইসব সংশোধন জরুরি বলে জানানো হয়েছিল। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে অপসারিত হন আইওএ প্রধান নরিন্দর বাত্রা। হকি ইন্ডিয়ার লাইফ মেম্বার পদ আদালত তুলে দেয়। যার দৌলতে ২০১৭ সালে আইওএ নির্বাচনে জয়লাভ করেন বাত্রা। দিল্লি উচ্চ আদালতের রায় বেরনোর পর আইওএ সভাপতি পদে ইস্তফা দেন বাত্রা।
নানা আইনি জটিলতায় ফেঁসে আইওএ-র নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় প্রবল অসন্তুষ্ট আইওসি। প্রাতিষ্ঠানিক নানাবিধ সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলতেও আইওএকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অকারণ জটিলতা যে কাম্য নয়, তাও স্পষ্ট আইওসির চিঠিতে। অবিলম্বে আইওএকে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠক ডাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইওএকে জরুরি ভিত্তিতে সভা ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাতেও বলা হয়েছে। দেরি করলে সাসপেনশন যে অবশ্যম্ভাবী, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে। আইওসির চিঠি আসার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা যাতে সাসপেনশনের আওতায় না পড়ে তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে।