ভোরের আলো ফোটার আগেই অভিযান
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের সামনের সড়কের পাশে থাকা বিক্ষোভকারীদের কাঠামোগুলি পুরো সাফ করে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও এই অভিযানে শামিল হয়। ইতিমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী প্রেসিডেন্টের পুরো সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে পুরো সচিবালয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ
রণিল বিক্রমসিংঘে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছাড়ার পরে যখন দায়িত্বভার নিয়েছিলেন, তখনই তিনি সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। আর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে ধরপাকড় শুরু হওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। কেননা কারা গোতাবায়ার পাশাপাশি রণিল বিক্রমসিংঘের বিরুদ্ধেও স্লোগান তুলেছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতে শত শত নিরাপত্তাকর্মী প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের সামনে থাকা 'গোতা গো গামা' প্রতিবাদ শিবিরটি ঘিরে ফেলে। তারপরেই সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা এই ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে বর্ণনা করেছেন। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা আগেই সরকারি ভবন থেকে সরে গিয়েছিলেন। আর শুক্রবার প্রেসিডেন্টের সচিবালয় সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
আহত বহু
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযানে বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। সংখ্যাটা কোনও ভাবেই ৫০-এর কম নয়। তবে এই অভিযানে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি সেখানকার সাংবাদিকদের ওপরেহামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে এব্যাপারে সরকার পক্ষের কোনও বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে সেখানকার মানবাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, প্রথমে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা এবং পরে সেনার মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আইনবের শাসনের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। ব্রিটিশ কূটনীতিক-সহ অনেকেই শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সাত দশকের মধ্যে সব থেকে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট
গত সাত দশকের মধ্যে সব থেকে খারাপ আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিংঘে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। পরে সাংসদরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। এরপর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।