ফের বাংলায় করোনা আক্রান্ত ২ হাজারে উপরে। বুধবারের তুলনায় কিছুটায় হলেও এদিন ফের বাড়ল সংক্রমণ। যা অবশ্যই নতুন করে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। তবে ২১শে জুলাইয়ের ভিড় নিয়ে কার্যত আতঙ্কিত চিকিৎসকদের একাংশ। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গোটা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি'র উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
যদিও প্রশাসনের তরফে নুন্যতম দূরত্ব বিধি এবং মাস্ক পড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মানছে কতজন? তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে এই বিতর্কের মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি রাজ্যে করোনা আক্রান্ত। তথ্য বলছে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হলেন ২৪৮৬ জন। যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যদিও বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও সংক্রমণ বেড়েছে। বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ৪৫৫ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা নিয়েও একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংক্রমণের নিরিখে ফের একবার কলকাতাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে উত্তর ২৪ পর৪গনা। এই জেলাতে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমনের নিরিখে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘন্টায় এই জেলাতে ৩৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বীরভূমে হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে। এই জেলায়তে ২৪ ঘন্টায় ৩০০ এর বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও এমন একাধিক জেলা রয়েছে যেখানে ১০০ এরও বেশি সংক্রমণ মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র ২৪ ঘন্টাতেই।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টাতে বাংলাতে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে কলকাতায় ২ জন, দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, জলপাইগুড়িতে একদিনে মৃত ১ জন করে করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা আজচ্ছে। অন্যদকে স্বস্তি দিচ্ছে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২৮ হাজারের মধ্যেই সিমাবন্ধ রয়েছে অরিস্থিতি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে রাজ্যগুলোর বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলোর কাছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে রাজ্যগুলোর বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলোর কাছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই বৈঠকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।