সতীশ ধন্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে সতীশ ধন্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে'র আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে দায়িত্ব দেওয়া হলেও কবে বাংলায় আসছেন সতীশ তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সতীশ ধন্ড বাংলায় সংগঠনের দায়িত্বে আসায় দলের শক্তি বাড়বে বলেই মনে করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি নতুন করে কর্মীরা চাঙ্গা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
পাখির চোখ করেছে মোদী-শাহ!
বলে রাখা প্রয়োজন, পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে মোদী-শাহ! আর সেই লক্ষ্যেই গত অয়েকদিন আগেই হাওড়াতে ঘুরে গিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। এমনকি আসছেন জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়াও। লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে একজন করে কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্বে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ঘুরে বেড়াবে, মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসাবে সতীশের যোগদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আসানসোলে থেকে কাজ করবেন
তবে কলকাতায় থেকে নয়, আসানসোলে থেকে কাজ করবেন কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্ড। গত ১০ বছর আসানসোল লোকসভা বিজেপির হাতে ছিল। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই সেখানে খেলা ঘুরে যায়। বড় ধাক্কা খায় বিজেপি। এবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয় পান তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা। এবার সেই কেন্দ্র থেকেই বাংলায় সংগঠনকে মজবুত কয়ার কাজ করবেন এই কেন্দ্রীয় নেতা।
শাহের খুবই পছন্দের একজন মানুষ সতীশ
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সতীশের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। গত কয়েক মাস আগেই গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন হয়। আর সেখানে বিজেপিতে বড় জয় পায় বিজেপি। প্রবল বিজেপি বিরোধী হাওয়া থাকা সত্ত্বেও সে রাজ্যের ফলাফল বিজেপির কাছেই যায়। কিন্তু এহেন সাফল্যের পিছনে সতীশের বড় ভূমিকা ছিল। বিজেপির অন্দরে অন্তত এমনটাই জল্পনা রয়েছে। কার্যত মেঘনাথের মতো আড়ালে থেকে কাজ করে গিয়েছেন আরআরএসের এই প্রচারক। শুদঝু তাই নয়, অমিত শাহের খুবই পছন্দের একজন মানুষ সতীশ। শনা যায় তাঁকে নাকি অনেকাংশে ভরসাও করেন তিনি। এবার সেই সতীশকে বাংলায় পাঠানো হল। যা কিনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।