টুইটারে কী লিখেছেন এনসিপি নেতা
বুধবার টুইটারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল জাতীয় কংগ্রেস পার্টির সভাপতি শরদ পাওয়ার সম্মতিতে দলের সমস্ত ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে কেন জাতীয় কংগ্রেসের সমস্ত ইউনিট ভেঙে দেওয়া হল, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও কারণ প্রকাশ করা হয়নি। তবে শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় রাজনীতিতে জোর জল্পনা দেখা দিয়েছে। একাধিক সম্ভাবনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। তবে এই বিষয়ে এনসিপির কোনও নেতাই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। এনসিপির প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে বেশ কিছু ইউনিট যেমন মহিলা সংগঠন, ছাত্র সংগঠন ও যুব সংগঠন ভাঙা হয়নি। তিনি বলেন, 'আমাদের দলের এই সংগঠনগুলো দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।' পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে দলের সমস্ত ইউনিটগুলোর পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাব আসছিল। শীঘ্রই দলে ভেঙে দেওয়া ইউনিটগুলো নতুন করে প্রস্তুত করা হবে।
মহা বিকাশ জোট সরকারের পতনের প্রভাব
এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল দলের সমস্ত ইউনিট ভেঙে ফেলার কারণ স্পষ্ট করেননি। তবে এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ জোটের পতনের তিন সপ্তাহের মধ্যে এনসিপির সমস্ত ইউনিট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মহা বিকাশ জোট গঠনে শরদ পাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর উদ্যোগেই কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনাকে একত্রিত করে মহা বিকাশ আঘাদি জোট গঠন করা হয়েছিল। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার বেশিরভাগ বিধায়ক বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তাঁরা সেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের বিরোধিতা করে মহা বিকাশ আঘাদি জোট থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করলে মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের পতন হয়। একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বিধায়কদের পাশাপাশি শিবসেনার একাধিক সাংসদ ইতিমধ্যে শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। শিবসেনার ফাটল অনিবার্য, এই মুহূর্তে শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
একই পথে সমাজবাদী পার্টি
কিছু দিন আগে সমাজবাদী পার্টি তরফে টুইটারে দলের সমস্ত ইউনিট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরে সমস্ত পদ নষ্ট করা হয়। সমাজবাদী পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পার্টিকে নতুন করে শক্তিশালী করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।