|
কপিল সিবালের তিন দফা সূত্র
সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে তিন দফা সূত্র দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য কপিল সিবাল। তাঁর প্রথম সূত্র হল, সপ্তাহের একটি দিন সংসদে বিরোধীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। যেখানে বিরোধীরা চাইলে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবে।
দ্বিতীয় সূত্র হল, এই নির্দিষ্ট দিনে বিরোধীদের উত্থাপিত কোনও ইস্যুতে ভেটো গেওয়ার অধিকার সরকারের থাকবে না। তাঁর তৃতীয় সূত্র হল সংসদে আলোচনা ছাড়া কোনও আইন পাশ করানো উচিত নয়।
কপিল সিবালের অবস্থান
গত মে মাসে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন কপিল সিবাল। তারপর তিনি সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় যান। সেই পরিস্থিতিতে মূদ্রাস্ফীতি আর জিএসটি নিয়ে আলোচনার দাবি করা বিরোধীদের প্রতিবাদে সংসদ অচল। সেই সময় কপিল সিবালের এই প্রস্তাব যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
বিরোধীদের সমালোচনায় অধ্যক্ষ
লোকসভায় ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন বিরোধীরা। যা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা করেছেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেছেন, স্লোগান না দিয়ে বিরোধীদের উচিত সভার কাজ পরিচালনায় সাহায্য করা। তিনি আরও বলেন, সংসদ হল আলোচনার জায়গা,
স্লোগানের জন্য নয়।
|
চতুর্থ দিনেও সংসদে বিক্ষোভ বিরোধীদের
এদিনও সংসদে উভয় সভাতেই উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ হয়নি। মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এদিন কংগ্রেস সাংসদরা সোনিয়া গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদ করেন। তারা সোনিয়া গান্ধীর ছবি-সহ টসত্যমেব জয়তেট লেখা প্ল্যাকার্ড
নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অসন্তুষ্ট রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যাঁরা প্ল্যাকার্ড এবং অন্য ব্যাপারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের নাম যেন হাউজ বুলেটিনে উল্লেখ করা হয় এবং সেখানে বলা হয় চেয়ারম্যান এই ধরনের কাজ
পছন্দর করছেন না।
এদিন কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর বলেছেন, সংসদে কংগ্রেস ইডির অপব্যবহারের বিষয়টি উত্থাপন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাধা পাওয়ায় এদিনের জন্য তারা সংসদ বয়কট করেছেন। প্রসঙ্গত এদিন সোনিয়া গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ
শুরু হয়। ঘন্টা দুয়ের পরে সোনিয়া গান্ধীর অনুরোধে ছেড়ে দেওয়া হয়। কেননা তিনি সবে মাত্র কোভিড মুক্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলছেন।