পেট ফেটে বেরিয়ে আসে গর্ভস্থ সন্তান
বুধবার উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে নরখি থানার অন্তর্গত বারতারা নামের একটি গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নরখি থানার এসএইচও ফেতহ বারাদুর সিং জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কামিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। কামিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তিনি স্বামীর বাইকে করেই বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। স্বামী রামু বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা এড়াতে রামু সামনের দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক রামুর বাইককে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় কামিনি বাইক থেকে পড়ে যান। ট্রাকের চাকা তাঁকে পিষে দেয়। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রাকটি পিষে দেওয়ার সময় কামিনির পেট ফেটে শিশুটির জন্ম হয়।
নবজাতকের অবস্থা স্থিতিশীল
দুর্ঘটনায় কামিনির মৃত্যু হলেও স্বামী রামুর কোনও ক্ষতি হয়নি। শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে ফিরোজাবাদ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল। নবজাতকটি বর্তমানে ভালো রয়েছেন। তবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসার প্রয়োজন। ঘাতক ট্রাকের চালক পলাতক। রামু ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে পুলিশ অভিযু্ক্ত ট্রাক চালককে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের ঘটনার ছায়া
বাংলাদেশে গত কয়েকদিন আগে একই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পিষে মেরে দিলে গর্ভস্থ সন্তান পেট ফেটে বেরিয়ে আসে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। শনিবার অর্থাৎ ১৬ জুলাই দুপুর তিনটে নাগাদ আলট্রাসনোগ্রাফি করে রত্না বেগম, জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁদের পাঁচ বছরের সন্তান সানজিদা ফিরছিলেন। ঢাকা- ময়মনসিংহ জাতীয় সড়ক পার করার সময় তাঁদের একটি ট্রাক চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই রত্না বেগম, জাহাঙ্গীর আলম ও সানজিদার মৃত্যু হয়। ত্রিশাল থানার আধিকারিক মহম্মদ মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় রত্না বেগম আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ট্রাকের চাকা মহিলাকে পিষে দেয়। সেই সময় গর্ভস্থ সন্তান পেট ফেটে বেরিয়ে আসে। শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।