নাগাল্যান্ডে গুলি চালানোর ঘটনায় ৩০ জওয়ানের আটকে ঘটনায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচার প্রক্রিয়া'র উপর এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। যা অবশ্যই ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা জওয়ান এবং আধিকারিকদের কাছে স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে নাগাল্যান্ডে'র মন জেলাতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়।
ভুল বোঝাবুঝির কারণে সেনা বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয় নিরীহ মানুষের। আর এরপরে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
সেই সংক্রান্ত একটি মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভি সুব্রমনিয়মের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা হয়। আর সেই মামলাতে জানানো হয়, ঘটনায় একজন প্যারাট্রুপারেরও মৃত্যু হয়। সেই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। বিষয়টি শীর্ষ আদালত রেকর্ড করেছে বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে দুটি মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে একটি আবেদন মেজর অঙ্কুশ গুপ্তা'র স্ত্রী অঞ্জলি গুপ্তা করেছেন। ঘটনায় অসম পুলিশ সেনা কর্তা অঙ্কুশকে আটক করেছে।
অন্যদিকে শীর্ষ আদালতে মামলাকারী জানতে চেয়েছেন রাজ্য সরকারের তৈরি করা সিটের তদন্তে তদন্তে কি উঠে এসেছে। এছাড়াও ডিসেম্বরের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার কমিশন যে অভিযোগ করেছিল সেই সংক্রান্ত তথ্যও তুলে ধরার কথা আবেদনকারী জানিয়েছেন বলেই খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেনা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, ঘটনার পরে নাগাল্যান্ড পুলিশের তরফেও বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে গত কয়েকমাস আগেই চার্জশিট জমা দেয় সে রাজ্যের পুলিশ।
আর এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ৩০ সেনা-জওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয় স্থানীয় পুলিশের তরফে। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর একেবারে সীমান্ত এলাকা মন জেলাতে এই ঘটনা ঘটে। সেনার কাছে খবর ছিল, জঙ্গি কার্যকলাপ চলতে পারে। সেই মতো ওঁত পেতে বসে ছিল সেনাবাহিনী। আর সেই সময় শ্রমিকদের নিয়ে একটি গাড়ি যাচ্ছিল। শ্রমিকদের হাতে কিছু অদ্ভুত অস্ত্র ছিল। শুধু তাই নয়, গাড়িটিকে দাঁড়াতে বলা হলেও দ্রুত পালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর এরপরেই সেনাবাহিনীর তরফে গুলি চালানো হয়। আর তাতেও ১৪ জনের মৃত্যু হয়।
আর এরপরেই আস্পা তোলার দাবিতে শুরু হয় জোর আন্দোলন। শুধু তাই নয়, দোষী সেনা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়কার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। প্রবল চাপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।