গ্রেফতার হওয়া আইএএস অফিসার পূজা সিংগালের সাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি ছবি শেয়ার করার জন্য মুম্বাইয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা অবিনাশ দাসকে গ্রেফতার করল আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
অবিনাশ দাস তেরঙা পোশাক পরা এক মহিলার আপত্তিকর ছবিও শেয়ার করেছিলেন। আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের সূত্র অনুসারে, পরিচালক যখন তার অফিসে যাচ্ছিলেন তখন আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে যে অবিনাশ দাস গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইএএস অফিসার পূজা সিংগালের সঙ্গে অমিত শাহের একটি ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন এবং ক্যাপশন সহ অভিযোগ করেছেন যে অফিসারের গ্রেপ্তারের আগে ছবিটি ক্লিক করা হয়েছিল।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থ পাচারের অভিযোগে আইএএস অফিসার পূজা সিংগালকে গ্রেপ্তার করেছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্মকর্তারা তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। দাস, তিনি আনারকলির অফ আরা তৈরি করেছিলেন। রয়েছে রাত বাকি হ্যাঁয়, সি নামক ছবিও। পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দাসকে আগামীকাল আহমেদাবাদ মেট্রো আদালতে পেশ করা হবে। দায়রা আদালতের আগাম জামিন প্রত্যাখ্যান করার পর, অবিনাশ গুজরাট হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন, যা খারিজ হয়ে যায়। আহমেদাবাদ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১৪ মে অবিনাশ দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
অবিনাশ দাসকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৬৯ (যে কেউ জালিয়াতি করে), তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) আইনের ধারা ৬৭ (অশ্লীল উপাদান প্রেরণের জন্য যে কোনও ব্যক্তির শাস্তি) এবং জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধের অধীনে মামলা করা হয়েছিল।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ঝাড়খণ্ডের আইএএস অফিসার পূজা সিংগালকে গ্রেফতার করেছিল । ঝাড়খণ্ডের খনিসচিব পূজা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের তহবিল থেকে অর্থ তছরুপের । তাকে চলতি বছরের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ।
১৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে । সঙ্গে আবার সুমন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। ইনি আবার পূজা এবং তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। তদন্তকারীরা ১৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেনতাঁর কাছ থেকেই। এটা ছিল নগদে। নগদে আরও ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয় অন্য একটি জায়গা থেকে। পাহাড়প্রমাণ টাকা। তাই তা গুনতে আনতে হয় টাকা গোনার যন্ত্রও। ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল থরে থরে সাজানো ছিল। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।