১৪ দিনে ধরে নিখোঁজ ছিল শ্রমিকের দল। এতদিন পরে খোঁজ মিলল মাত্র একজনের। তাও মৃত অবস্থায়। বাকি ১৮ জন এখনও নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা ভারত-চিন সীমান্তের কাছের।
অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তের কাছে কুরুং কুমে জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক শ্রমিকের দেহ পাওয়া গিয়েছে মৃত অবস্থায়। এখনও ১৮ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। বিবরণ অনুসারে, অরুণাচল প্রদেশের কুরুং কুমে জেলায় রাস্তা নির্মাণে কাজ করছিল ওই শ্রমিকরা। কিন্তু গত ১৪ দিন ধরে তাঁরা নিখোঁজ ছিল। তাঁদেরই মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে ওই ১৯ জনের সবাই ৯ জুলাই থেকে প্রকল্প সাইট থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁদের মধ্যে একজন শ্রমিকের মৃতদেহ এতদিন বাদে পাওয়া গিয়েছে। একটি নদীতে ওই মৃত শ্রমিকের দেহ পাওয়া গিয়েছে। কুরুং কুমে জেলার ডেপুটি কমিশনার বেঙ্গিয়া নিঘি জানান, 'দামিনের নীচে ফুরাক নদী নামে একটি ছোট নদী আছে। সেখানে একজন শ্রমিকের মৃত দেহ পাওয়া গিয়েছে।
বেঙ্গিয়া নিঘি বলেছেন, "একটি পুলিশ দল এবং দামিনের সার্কেল অফিসার মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলের দিকে চলে গিয়েছে। শ্রমিকরা দামিন সার্কেলের অধীনে হুরি এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের কাজে করছিল," ।
নিঘি বলেন, "দামিন সার্কেল এলাকাটি ভারত-চীন সীমান্তে অবস্থিত। নিখোঁজ শ্রমিকদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের এবং তারা তাদের এলাকায় ঈদ উদযাপনের জন্য ৫ জুলাই সাইট ছেড়ে থাকতে পারে।" কুরুং কুমে জেলার ডেপুটি কমিশনার আরও বলেছেন যে তারা রাস্তা তৈরির প্রকল্পের ঠিকাদারদের থেকে নিখোঁজ শ্রমিকদের বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। তিনি এও বলেছেন যে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দামিনের কুমে নদীতে ডুবে সব শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই রটে গিয়েছে লোকমুখে। সূত্রের খবর এও বলছে যে শ্রমিকরা ঠিকাদার বেঙ্গিয়া বাদোর কাছে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল কিন্তু ঠিকাদার অনুমতি দিতে অস্বীকার করলে তারা পায়ে হেঁটেই পালিয়ে যায় কিন্তু কুরুং কুমে জেলার গভীর জঙ্গলে নিখোঁজ হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এতদিন পরেও ১৮ জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ। সেটাই আরও চাপে ফেলেছে পুলিশকে। নিখোঁজ শ্রমিকদের খুঁজে বের করতে এবং কুমে নদীতে সমস্ত শ্রমিক ডুবে গেছে বলে রিপোর্ট যাচাই করতে একটি উদ্ধারকারী দলকে প্রকল্পের পাশে পাঠানো হবে বলে খবর মিলছে।