|
সময় চান সানি
সুনীল গাভাসকর এর আগে বারবার বিরাটের আউট হওয়ার ধরন দেখে পরামর্শ দিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরকে ফোন করে তাঁর পরামর্শ নিতে। বিরাট সে পথে হাঁটেননি। সুনীল গাভাসকর নিজেও ব্যাট হাতে নিয়ে স্টান্স কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলা উচিত তাও হাতেকলমে দেখিয়েছেন। বিরাট তো আবার দলের বাইরের লোকের কথাকে গুরুত্ব দেন না! এবার গাভাসকর নিজেই বিরাটকে সহযোগিতা করার জন্য সময় চাইলেন। তাও মাত্র ২০ মিনিট। বিরাটের ব্যাটিংয়ে কোথায় সমস্যা তাও ধরে ফেলেছেন সানি।
বিরাটের দুর্বলতা কোথায়?
বিরাট কোহলি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি একদিনের আন্তর্জাতিকে সাকুল্যে ৩৩ রান করেছেন। দুটি টি ২০ আন্তর্জাতিকে মোট ১২ রান করেছিলেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল সঠিকভাবে খেলতে না পারা এবং ফর্মে ফিরতে রান করতে তাগিদ ও সে কারণে সব বলে শট খেলার প্রবণতাই বিরাটের সমস্যা বাড়াচ্ছে বলে উপলব্ধি গাভাসকরের। গাভাসকর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আমি ২০ মিনিট সময় পেলে তাঁকে বলতাম কী করার দরকার রয়েছে। সেটা তাঁর পক্ষে সহায়কও হবে। আমি বলছি না যে, এটা তাঁকে সাহায্য করবেই। কিন্তু করতেই পারে। বিশেষ করে অফ স্টাম্প লাইনের বল খেলার কৌশলের বিষয়টিতে। ওপেন করতে নেমে কিংবা ওই লাইনের বল খেলতে গিয়ে সমস্যা দূর করার রণকৌশল ঠিক করতে তাঁর সঙ্গে ২০ মিনিট কথা হলেই আমি বলতে পারি।
|
প্রথম ভুল শেষ ভুল
গাভাসকর ফের বলেছেন, বিরাটের ক্ষেত্রে তাঁর প্রথম ভুলটিতেই উইকেট পেয়ে যাচ্ছে বিপক্ষ দল, ফলে সেটিই তাঁর শেষ ভুল হয়ে যাচ্ছে। বিরাট রানের মধ্যে নেই। সে কারণেই এটা হচ্ছে। কেন না এমন সময়ে ব্যাটাররা রান পেতে প্রতিটি বল খেলতেই মুখিয়ে থাকেন। যে বলে শট খেলার দরকার নেই, সেটাকেও তাঁরা ছাড়তে চান না। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে বিরাট বেশ কয়েকটি ভালো বলেও আউট হয়েছেন বলে মন্তব্য সানির।
কিং কোহলির পক্ষে সওয়াল
বিরাট কোহলির দেশের হয়ে মাঝেমধ্যেই ম্যাচ না খেলার প্রবণতাকে সমর্থন করেন না গাভাসকর। তবে বিরাটের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিরাট কখন মাঠে ফিরবেন সেজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্রাম তাঁর ক্ষেত্রে ভালো না খারাপ হলো সেটাও বোঝা যাবে। তবে বিরাটকে কিছু ব্যর্থতার পরেও সুযোগ দিতেই হবে। তাঁর ৭০টি আন্তর্জাতিক শতরান রয়েছে। সমস্ত কন্ডিশনে সব ফরম্যাটেই সাফল্য রয়েছে। ফলে ধৈর্য্য হারালে চলবে না। তাড়াহুড়োর সময়ও নয়। আমাদের দেশে ক্রিকেটারদের ৩২, ৩৩ বছর বয়স হলেই জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা ওঠে। অথচ তখনও সেই ক্রিকেটারের মধ্যে অনেক ক্রিকেট অবশিষ্ট থাকে। কোহলির ক্ষেত্রে ধৈর্য্যশীল হতে হবে। তাঁর মতো গ্রেট ক্রিকেটার কিছু ম্যাচে ব্যর্থ হলেও তাঁকে সুযোগ দিতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন গাভাসকর।