যে দলে আছি, সেই দলকেই সমর্থন করি
শিশির অধিকারী বলেন, যে দলে আছি, সেই দলকেই সমর্থন করি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও সেই দলকে সমর্থন করেছেন। আর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও দল যা বলবেন, তিনি সেটাই করবেন। এ কথা বললেও শিশির অধিকারী কিন্তু জানাতে ভুললেন না, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র দ্রৌপদী মুর্মুই ছিলেন যোগ্য প্রার্থী। একইভাবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও জগদীপ ধনখড়কে যোগ্যতম বলে বর্ণনা করেন শিশির অধিকারী। ধনখড়কে সেরা রাজ্যপাল বলেও অভিহিত করেন তিনি।
বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি
২০২১-এর নির্বাচনের সময় বিজেপির প্রচার মঞ্চে দেখা গেলেও তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর থেকে তৃণমূল ধরেই নেয়, গোটা অধিকারী পরিবারই বিজেপিতে চলে গিয়েছে। কিন্তু খাতায় কলমে শিশির অধিকারী ও তাঁর সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল সাংসদ।
তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব
শিশির অধিকারী এদিন সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, যে দলে আছি সেই দলকেই সমর্থন করছি। তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব। দলের কথা মেনেই তাই তিনি দলের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। তাহলে কলকাতায় কেন ভোট দিলেন না, দল তো আপনার ব্যালট কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। সে যুক্তিও খণ্ডন করে জানিয়ে দেন, কেউ সে কথা বলেনি। উল্টে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সাত বার চিঠি করেছে। তার উত্তর দিতে হয়েছে আমাকে।
বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট, বার্তা
দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন শিশির অধিকারী। এদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে তিনি দিল্লি যান ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। দুজনেই বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেওয়ার কথা জানান। আবার ধোঁয়াশাও তৈরি করেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, বয়সের কারণেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই।
বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে
এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে, এদিন কি দিল্লিতে এসে সে ব্যাপারে কোনও আলোচনা হল। সেই সম্ভাবনা খারিজ করে শিশির অধিকারী জানিয়ে দিলেন, তিনি এখনও কর্মঠ। এখনও গ্রামে-গঞ্জে, পুরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছুটে রাজনীতি করতে পারি। রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করতে পারি, জানিয়ে দেন শিশির অধিকারী। দিব্যেন্দু বলেন, সাংসদ হলেও তাঁদের ডাকা হয় না জেলা প্রশাসনের কাজে।