যমগন্দম সময় কাকে বলে
পুদুচেরির সমস্ত বিধায়ক ও লোকসভার এক সাংসদ শুধু যমগন্দম অশুভ সময়ের জন্য যে শুধু ভোটদানে বিরত ছিলেন তাই নয়। তাঁরা ভোটদান কক্ষেও প্রবেশ করেননি। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত যমগন্দম সময় ছিল। ভারতীয় জ্যোতিশাস্ত্র অনুসারে এই সময়কে ডেথ টাইম বা মৃত্যু সময়ও বলা হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে কোনও কাজ শুরু করলে তার ব্যর্থতা নিশ্চিত বলে মনে করা হয়। এমনকী কাজটি শেষ হওয়ার আগে পণ্ড হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। প্রতিটি দিনের আলাদা আলাদা যমগন্দম সময় থাকে। সেই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পুদুচেরির বিরোধী বিধায়কদের ভোটদান
পুদুচেরির শাসকদল, বিরোধী দল, ছয়টি স্বতন্ত্র দলের বিধায়করা সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। জানা যায়, লোকসভার সদস্য ভি বৈথিলিঙ্গম, বিরোধী দলেনতা (ডিএমকে) আর শিবার নেতৃত্বে বিরোধী ডিএমকে ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা পুদুচেরির বিধানসভা চত্বরে পৌঁছন। ডিএমকের বিধায়ক এএমএইচ নজিম বেলা ১২টার কয়েক মিনিট পর প্রথম পুদুচেরিতে ভোট দেন। তাঁকে অনুসরণ করে বাকিরা ভোট দেন। পুদুচেরিতে বিরোধীদের হয়ে বৈথিলিঙ্গম বলেন, 'আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিয়েছি। আমারা মনে করি, যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাঁরা সবাই যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবেন।'
শাসক দলের বিধায়কদের ভোটদান
বেলা একটার কিছু পরে মুখ্যমন্ত্রী এন রাঙ্গাসামির নেতৃত্বে এআইএনআরসির ১০ জন বিধায়ক ও স্পিকার বিজেপির ছয়জন বিধায়ক ভোট দেন। ছয় জন নির্দল দলের বিধায়কদের মধ্যে চার জন এনডিএ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন। বাকি দুই বিধায়ক বিরোধী জোটপ্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন। পুদুচেরিতে ৩০ জন বিধায়ক ও দুই সাংসদ রয়েছেন। তার মধ্যে একজন লোকসভার সাংসদ ও একজন বিধানসভার সাংসদ। পুদুচেরির প্রতি বিধায়কের ভোটের মূল্য ১৬। সমস্ত সাংসদদের এক মূল্য। প্রতিটি সাংসদের ভোটের মূল্য ৭০০। ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনা হবে। ২৫ জুলাই দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন। দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদকাল ২৪ জুলাই পর্যন্ত রয়েছে।