ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিততে ভারতের দরকার ২৬০ রান। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনও পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারল না জস বাটলারের দল। ৪৫.৫ ওভারে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। জস বাটলার সর্বাধিক ৬০ রান করেন। হার্দিক পাণ্ডিয়া নিয়েছেন ৪ উইকেট, যুজবেন্দ্র চাহাল তিনটি ও মহম্মদ সিরাজ পেয়েছেন দুটি উইকেট।
ইংল্যান্ডের চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। সেখান থেকে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন মঈন আলি ও জস বাটলার। অধিনায়ক বাটলারের ৮০ বলে ৬০ রানের ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার ও দুটি ছয়। সাতটি চারের সাহায্যে ওপেনার জেসন রয় করেন ৩১ বলে ৪১। মঈন আলি দুটি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে করেন ৪৪ বলে ৩৪। ৩৩ বলে ৩২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নয়ে নামা ক্রেগ ওভার্টন। বেন স্টোকস ২৯ বলে ২৭, লিয়াম লিভিংস্টোন ৩১ বলে ২৭ রান করেন। ১৫ বলে ১৮ রান করেন ডেভিড উইলি।
জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট দুজনকে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটারই তিন বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। ৩৭তম ওভারে হার্দিক পাণ্ডিয়া লিয়াম লিভিংস্টোন ও জস বাটলারের উইকেট দুটি তুলে নেন। দুটি ক্যাচই দারুণভাবে ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা, প্রথমটির থেকে দ্বিতীয়টি আরও ভালো মানের ক্যাচ। ৪৬তম ওভারে ক্রেগ ওভার্টন ও রিস টপলির উইকেট দুটি তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসে যবনিকা টানেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
ভারতের সফলতম বোলার হার্দিক পাণ্ডিয়া। ৭ ওভারের মধ্যে ৩টি মেডেন, ২৪ রানের বিনিময়ে তিনি নিলেন ৪ উইকেট। কেরিয়ারের সেরা বোলিং করে হার্দিক বলেন, এই উইকেটে ফুলার লেংথের ডেলিভারি কার্যকরী হতো না। তাই শর্ট বলে জোর দিয়েছিলাম, বাউন্সারের কৌশল কার্যকরী হওয়ায় ভালো লাগছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা যেভাবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করছেন তাতেও খুশি হার্দিক। উইকেটের চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারলে টার্গেট পূরণ সম্ভব বলে নিশ্চিত হার্দিক। তবে ভারতের বাকি বোলারদের ইকনমি বেশ খারাপ। মহম্মদ শামি সাত ওভারে ৩৮ রান দিয়ে উইকেট পাননি। মহম্মদ সিরাজের ৯টি ওভারের মধ্যে ১টি মেডেন, তবে তিনি ২ উইকেট নেন ৬৬ রানের বিনিময়ে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেট পাননি। চাহাল ৯.৫ ওভারে ৬০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন, তাও লোয়ার মিডল বা টেল এন্ডারদের উইকেট। জাদেজা একটি উইকেট পান, ৪ ওভারে তিনি দেন ২১ রান।